পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

লকডাউনে বিক্রি নেই পেট্রল-ডিজ়েলের, লোকসান পাম্প মালিকদের - Kolkata

কোরোনা ও লকডাউনের কারণে জ্বালানি তেলের বিক্রি একেবারে তলানিতে ঠেকেছে । চাহিদা বাড়া তো দূরস্ত, বছর শেষে দেশে তথা রাজ্যে জ্বালানি তেলের ব্যবহার একেবারেই পড়ে যাবে বলে অনেকের আশঙ্কা।

পেট্রোল পাম্প
পেট্রোল পাম্প

By

Published : May 14, 2020, 7:35 PM IST

কলকাতা, 14 মে : কোরোনা মোকাবিলায় সারা দেশজুড়ে চলছে লকডাউন । বন্ধ গণপরিবহন । এবার তার প্রভাব পড়ল পেট্রল ও ডিজ়েলের বিক্রিতে ।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, লকডাউনের ফলে এ বছর কমেছে পেট্রল ও ডিজ়েলের চাহিদা । কলকাতার একটি পেট্রল পাম্পের কর্মী রামবলী দাস বলেন, "পেট্রল পাম্প খোলা রাখলেও তেলের বিক্রি একেবারেই নেই । সারাদিনে কয়েকটি বাইক ও একটি বা বড়জোর দু'টি গাড়ি আসছে পেট্রল নিতে । ডিজ়েল তো একেবারেই বিক্রি হচ্ছে না ।"

পশ্চিমবঙ্গ পেট্রলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার সেন বলেন, "কোরোনা ও লকডাউনের জেরে জ্বালানি তেলের বিক্রি একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে । চাহিদা বাড়া তো দূরস্ত, বছর শেষে দেশে তথা রাজ্যে জ্বালানি তেলের ব্যবহার একেবারেই পড়ে যাবে । কারণ সংক্রমণের আতঙ্কে খুব প্রয়োজন না হলে কেউ রাস্তায় তেমন একটা বের হতে চাইবেন না । এর ফলে প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে পেট্রল পাম্প মালিকদের । এক একজন পাম্প মালিকের মাসে সাত-আট লাখ টাকার ক্ষতি হচ্ছে ।" তিনি আরও বলেন, "তেল অত্যাবশ্যক সামগ্রী বলে সকাল 7 টা থেকে রাত 9 টা পর্যন্ত পেট্রল পাম্পগুলো খুলে রাখতে হচ্ছে । তবে কোথায় বিক্রি? তেলের কোনও বিক্রি নেই বললেই চলে ।"

কীভাবে এই লোকসানের মোকাবিলা করা যায় কিংবা এই লোকসান থেকে কিছুটা হলেও বেরিয়ে আসা যায় ? এই বিষয়ে তিনি বলেন, "লকডাউন উঠে গেলে আমাদের ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করে সার্বিক চিত্র মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে । শুধুমাত্র বিক্রি কম হচ্ছে বলেই যে মালিকদের লোকসান হচ্ছে তেমনটা নয় । রয়েছে তেলের 'শর্ট সাপ্লাই' বা যে দামে যত তেল আসা উচিত তা আসছে না ।"

রাস্তাতেই ট্যাঙ্কারগুলি থেকে বের করে নেওয়া হয় অনেকটা তেল । এ বিষয়ে তুষারবাবু বলেন, "একে তেলের বিক্রি নেই, অন্যদিকে প্রতি ট্যাঙ্কারে তেল প্রায় 100 লিটার মতো কম আসছে । এই বিষয়টি সবাই জানে । যে রাস্তায় জ্বালানি আসে, সেই রাস্তায় বহু জায়গায় দুষ্কৃতীরা ট্যাঙ্কার থেকে তেল বের করে নেয় । বিষয়টি আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েকেও অনেকবার জানিয়েছি ।" সারা রাজ্যে রয়েছে প্রায় তিন হাজারের কাছাকাছি পেট্রল পাম্প । একটি বড় পেট্রল পাম্পে মাসে 400 কিলোলিটারের মতো তেলের প্রয়োজন পড়ে । একটি ছোটো পেট্রল পাম্প হলে সারা মাসে 100 কিলোলিটারের মতো তেল লাগে ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details