কলকাতা, 28 অগাস্ট : জ্বর-সর্দি-কাশির মতো কোনও উপসর্গই ছিল না তাঁর ৷ সন্দেহ হয়েছিল স্নায়ু সমস্যার ৷ সে কারণে স্নায়ু সংক্রান্ত একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয় 72 বছরের বৃদ্ধাকে ৷ হাসপাতালে ধীরে ধীরে তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে ৷ সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় অন্য একটি হাসপাতালে ৷ এরপর কোরোনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে ৷ এরপরই জানা যায়, তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন ৷ রাখা হয় কৃত্রিম হার্ট-লাঙসের বা ECMO-এর সাপোর্টে ৷ প্রায় 49 দিন মতো ছিলেন ভেন্টিলেশন সাপোর্টে ৷ শারিরীক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে, পরিবারের লোকেরা আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন ৷ অবশেষে 49দিন ভেন্টিলেশন সাপোর্টে থাকার পরও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি ৷ হাসপাতালে ভরতি হওয়ার 65 দিন পর ছাড়া পান তিনি ৷
72 বছর বয়সী ওই বৃদ্ধা কলকাতার একজন নামকরা ENT চিকিৎসকের স্ত্রী ৷ ওই চিকিৎসক বলেন, "প্রাথমিক উপসর্গ বলতে ছিল হাইপোক্সিয়া ৷ নিউমোনিয়া সিভিয়ার হয়ে গিয়েছিল এটা আমরা বুঝতে পারিনি ৷ কারণ জ্বর-সর্দি-কাশির মতো কোনও উপসর্গই ছিল না তাঁর ৷ স্নায়ু সংক্রান্ত সমস্যার কথা ভেবে গত 22 জুন মল্লিকবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে ৷ তবে, সেখানেও তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে ৷ এরপর ওই হাসপাতালেরই এক চিকিৎসক জানান, তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ৷ বিষয়টি জানার পরই গত 24 জুন ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷ ভরতির 24 ঘণ্টার মধ্যে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয় ৷ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় রাখা হয় ECMO- সাপোর্টেও ৷ অবশেষে গত 27 অগাস্ট হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি ৷" ওই বৃদ্ধার মেয়ে বলেন, "মায়ের সিভিয়ার নন-কোভিড নিউমোনিয়া হয়েছিল ৷ যখন ভরতি করেছিলাম তখন ভাবতেও পারিনি যে মা-কে আর ফেরাতে পারব ৷ মা সুস্থ হয়ে ফিরে আশায় খুশি আমরা ৷"