কলকাতা, 21 নভেম্বর : একাধিক অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসর প্রধান কর্যালয় তৃণমূল ভবনের সামনে ধরনায় বসলেন জেলার তৃণমূল কর্মীরা৷ দলীয় পতাকা, গলায় প্ল্যাকার্ড ধুলিয়ে চলে তাঁদের কর্মসূচি । কী অভিযোগ তাঁদের? তা সংবাদ মাধ্যম বা তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের কাছে প্রথমে বলতেও নারাজ ছিলেন তাঁরা৷ তাঁদের দাবি ছিল, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কারোর কাছে জানাবেন না সেই অভিযোগ৷
তৃণমূল ভবনের সামনে অবস্থান কর্মীদের - রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন
গোটা বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। অবস্থান বিক্ষোভ চলাকালীন তৃণমূল ভবনে উপস্থিত ছিলেন দলের অন্যতম মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন এবং বারাসতের সংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
বস্তুত, দলের সদর কার্যালয়ের সামনে দলীয় কর্মীদের অবস্থান-বিক্ষোভের ঘটনা অদূর অতীতে দেখা যায়নি । আজ সকাল থেকে রাজ্যের 23টি জেলার প্রায় 250 জন তৃণমূল কর্মী দলের সদর কার্যালয়ের মূল প্রবেশ পথে বসে অবস্থান করেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। অবস্থান বিক্ষোভ চলাকালীন তৃণমূল ভবনে উপস্থিত ছিলেন দলের অন্যতম মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন এবং বারাসতের সংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
আবস্থানরত কর্মীদের চেষ্টা করেও ওঠাতে পারেনি পুলিশ। তখনও পর্যন্ত নিজেদের দাবিতে অনড়৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা না করে উঠবেন না তাঁরা। বেলা তিনটে নাগাদ রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির উদ্যোগে বরফ গলে। অবশেষে প্রথম সারির নেতৃত্বের তরফে আশ্বাস পাওয়ার পরই অবস্থান তোলেন আন্দোলনকারীরা। জানা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, আগামী বৃহস্পতিবার সুব্রত বক্সির সঙ্গে দেখা করবেন তাঁরা। জানাবেন তাঁদের সমস্যা কথা।