কলকাতা, 2 মার্চ: আলিপুর আদালতে ফের তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থনে মুখ খুললেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Comments on TMC)। বৃহস্পতিবার তাঁকে আলিপুর আদালতের লকআপে নিয়ে যাওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে তিনি বলেন, "তৃণমুল দল থাকার...থাকবে, আরও বাড়বে ।" এদিন পার্থ চট্রোপাধ্যায়-সহ 13 জনের 16 মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত ৷
বৃহস্পতিবার আদালতে তোলার সময় সাংবাদিকরা ঘিরে ধরেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে (Partha Chartterjee)৷ ঠিক সেই সময়ই সাগরদিঘি নির্বাচনের ফলাফল সামনে এসেছে ৷ যেখানে পরাজিত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ সেই প্রসঙ্গ তুলে সাংবাদিকরা পার্থকে প্রশ্ন করেন যে, তিনি তো দলে নেই, এ বার কি তৃণমূল দলটারও যাওয়ার পালা ? এই প্রশ্নের জবাবে তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব বলেন, "তৃণমুল দল থাকার...থাকবে, আরও বাড়বে ।"
এদিন সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছিল পার্থকে । এক সময়ের তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখনও দলের প্রতি যে অনুগত, তা আবারও এদিন তাঁর বক্তব্য থেকে প্রমাণিত হল । এ দিনও দলের পক্ষেই সাফাই দিলেন তিনি ৷ তবে আজ সাংবাদিকদের অন্য কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷
আরও পড়ুন:সংশোধনাগারে যোগাসন শিখতে চান পার্থ চট্টোপাধ্যায়
এর আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের তৃণমূল দলের ডিসেম্বর ডেডলাইন মন্তব্য নিয়েও একাধিক কথা বলেছিলেন পার্থ । সেই ব্যাপারে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে তিনি বলেছিলেন, "তৃণমুল দলের কেউ ক্ষতি করতে পারবে না ।" ফলে দল তাঁকে যতই দূরে সরিয়ে দিক বা দলের তরফে যতই তাঁর হয়ে তেমন কোনও উচ্চবাচ্য করার লোক না থাকুক, দলের প্রতি তাঁর যে আনুগত্য ও ভালোবাসায় টান পড়বে না, তা বার বার প্রকাশ করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ।
গত বছর জুলাই মাসে তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা নোটের বান্ডিল উদ্ধার করে সিবিআই । উদ্ধার করা হয় সোনাও । সেই ঘটনার পর থেকে সংশোধনাগারে রয়েছেন পার্থ ও অর্পিতা ।
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ, গ্রুপ-ডি, গ্রুপ-সি নিয়োগ-সহ অন্যান্য একাধিক নিয়োগ সংক্রান্ত জালিয়াতিতে অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নগর দায়রা আদালত ও আলিপুর আদালতে বেশ কয়েক দফায় জামিনের আবেদন জানিয়েছেন ৷ কিন্তু সিবিআই ও ইডির যুক্তির কাছে এখানও পর্যন্ত পরাজয় স্বীকার করতে হয়েছে তাঁর আইনজীবীকে । ফলে সংশোধনার থেকে মুক্তি পাননি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ৷