কলকাতা, 28 সেপ্টেম্বর: ধুপগুড়ি বিধানসভার জয়ী প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায়ের শপথ নিয়ে আরও একবার রাজভবনকে চিঠি দিলেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার আরও একবার চিঠি দিয়ে পরিষদীয় দফতরের তরফ থেকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে আবেদন করা হয়েছে, রাজ্যপাল নিজেই যেন শপথ বাক্য পাঠ করান। কিন্তু বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায়ের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হোক বিধানসভায়।
এক্ষেত্রে মন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন, যত সময় যাচ্ছে ধুপগুড়ির সাধারণ মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এদিন প্রথমবারের জন্য বিধায়ক হওয়া নির্মল চন্দ্র রায়ের মনের অবস্থাটাও ভেবে দেখার জন্য আবেদন করেছেন পরিষদীয় মন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, "নির্মলবাবু ভোটে জিতে রয়েছেন কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর শপথ না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত বিধায়ক হিসেবে তিনি তাঁর মর্যাদা পাবেন না। এক্ষেত্রে তাঁর কাছে বিভিন্ন সাহায্যের জন্য যারা আসছেন তাদেরও তিনি কোনও রকমভাবে সাহায্য করতে পারছেন না। সবদিক বিবেচনা করে রাজ্যপালের যেন আরও একবার বিষয়টি ভেবে দেখেন।"
একই সঙ্গে, কোথায় কখন গিয়ে তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন সে বিষয়ে তিনি যাতে সিদ্ধান্ত নেন সেই আবেদনই জানিয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, ধুপগুড়ির বিধায়কের শপথ নিয়ে রাজ্যপালকে দেওয়া পরিষদীয় মন্ত্রীর চিঠি এই প্রথম নয়। আগেও দু'দফা, এই বিষয় নিয়ে চিঠি দিয়েছেন তিনি। এই নিয়ে তৃতীয়বার রাজভবনকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ জানালেন পরিষদীয় মন্ত্রী।
এদিন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় বলেন, "রাজ্যপাল বিধানসভায় এসে শপথ বাক্য পাঠ করান তাতে আমরা রাজি আছি। ভুলে গেলে চলবে না বিধায়ক শপথের পুরো ব্যবস্থাটাই বিধানসভা থেকেই করা হয়। এক্ষেত্রে উনি যদি ভাবেন তাঁকেই শপথ বাক্য পাঠ করাতে হবে তাহলে বিধানসভাতেই আসুন। তিনি নিজে শপথ বাক্য পাঠ করালেও আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু দ্রুত সমস্ত ব্যবস্থা করা হোক। আর বেশিদিন বিধায়কের শপথ ঝুলিয়ে রাখা ঠিক হবে না।"
আরও পড়ুন: রাজভবনে পুলিশি নজরদারির অভিযোগ, চড়ছে উত্তাপ
গত 8 সেপ্টেম্বর ধুপগুড়ি বিধানসভার ফল ঘোষণা হয় সেই সময় থেকেই ঝুলে রয়েছে বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায়ের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। এই নিয়ে অবশ্য বিস্তর জল ঘোলা চলছে। চলছে চিঠি-চাপাটি চালাচালি। এখনও অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বিধায়কের শপথ নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট জবাব পাওয়া যায়নি। ফলে কবে তাঁর শপথ অনুষ্ঠানসম্পন্ন হবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।