কলকাতা, 6 ডিসেম্বর: ভালোবাসা কোনও সীমানা মানে না ৷ ভালোবাসা ছিঁড়ে দেয় কাঁটাতারের বেড়াজাল ৷ রিল এবং রিয়েল লাইফে বারেবারে তারই প্রমাণ মিলেছে ৷ পর্দার বীর প্রেমের টানে সীমান্ত পার করে পাকিস্তানে পাড়ি দিয়েছিল জারাকে কাছে পেতে ৷ গদরে নানা বাধা বিপত্তিতেও ডরায়নি তারা সিং ৷ বহু বৈরিতার মুখে পড়লেও সাকিনার জন্য তিনি ছুটেছেন প্রতিবেশী দেশে ৷ কাট টু রিয়েল লাইফ ৷ খুব বেশিদিন আগেকার কথা নয় ৷ সোশাল মিডিয়ার বন্ধু সচিন মীনার প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে এ দেশে চলে এসেছিলেন পাকিস্তানের সীমা হায়দার ৷ আর ভালোবাসারই অমোঘ টানে স্বামী ও সন্তানদের ফেলে পাকিস্তানে গিয়ে প্রেমিক নাসরুল্লাহকে বিয়েই করে ফেলেন মধ্যপ্রদেশের অঞ্জু ৷ এ নিয়ে দু'দেশের মধ্যে কম জলঘোলা হয়নি ৷ আবারও বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন দুই দেশের বাসিন্দা ৷ পার্ক সার্কাসের বরের সঙ্গে বিয়ে করতে কলকাতায় এসেছেন পাকিস্তানের কনে ৷ তবে এ ক্ষেত্রে সবকিছু হচ্ছে আইন-কানুন মেনেই ৷
মাত্র 45 দিনের ভিসা পেয়ে বিয়ে করতে পাকিস্তান থেকে সোজা পার্ক সার্কাস ৷ আটারি সীমান্ত পেরিয়ে প্রথমে এ দেশে আগমন ৷ তারপর বিমানে চড়ে কলকাতা ৷ পার্ক সার্কাসের যুবক শামীর খানের সঙ্গে নিকাহ করাচির বাসিন্দা 21 বছরের জাভেরিয়া খানমের । আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যেই তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন ৷
2018 সাল থেকে পার্ক সার্কাসের শামীরের সঙ্গে পরিচয় জাভেরিয়ার । মায়ের মোবাইল ফোনে তাঁর ছবিটা প্রথম দেখেছিলেন শামীর ৷ আর ব্যাস ৷ লাভ অ্য়াট ফার্স্ট সাইট ৷ তখনই শামীর মনস্থির করে ফেলেন যে, জাভেরিয়াকেই বিয়ে করবেন । তারপর থেকেই সোশাল মিডিয়া ও ভিডিয়ো কলে শুরু হয়ে যায় প্রেমপর্ব ৷
কিন্তু ভারত থেকে পাকিস্তানে গিয়ে কিংবা পাকিস্তান থেকে ভারতে এসে বিয়েটা বেশ জটিল ছিল ৷ একাধিকবার ভিসা বাতিল হয়েছে ৷ অবশেষে বেশ কয়েক বছরের অপেক্ষার পর ভারতে আসার জন্য 45 দিনের ভিসা পান জাভেরিয়া ৷ সেই ভিসা নিয়ে গতকালই তিনি কলকাতায় এসেছেন ৷ এখন পার্ক সার্কাসে রয়েছেন কলকাতার হবু পাকিস্তানি পুত্রবধূ ৷