কলকাতা, 29 অগস্ট: বালি ব্রিজে নাশকতার ছক কষেছিল কলকাতা পুলিশের এসটিএফের হাতে গ্রেফতার হওয়া ভক্ত বংশী ঝাঁ। তদন্তকারীদের অনুমান, জঙ্গিরা মূলত বালি ব্রিজ এবং ব্রিজ সংলগ্ন একটি মন্দিরে নাশকতার ছক করেছিল। কিন্তু তার আগেই ভক্ত বংশী পুলিশের জালে ধরা পড়ে ৷ গোয়েন্দাদের অভিযোগ, ওই ব্যক্তি কলকাতায় এসে বালি ব্রিজের বিভিন্ন ছবি এবং বালি ব্রিজ সংলগ্ন একটি মন্দিরের ছবি পাকিস্তানি ওই মহিলাকে পাঠায়। অভিযোগ, ওই মহিলা পাকিস্তানি ইন্টেলিজেন্সি ব্যুরোর হয়ে কাজ করে ।
মূলত, গোপন সূত্রে তথ্য পেয়েই বিহারের বাসিন্দা পাকিস্তানের গুপ্তচর ভক্ত বংশী ঝাঁকে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা গ্রেফতার করেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ , ওই ব্যক্তি চেন্নাই, কলকাতা, দিল্লি-সহ একাধিক জায়গায় গোপন ছবি তুলে পাকিস্তানি এক মহিলার কাছে পাঠিয়ে সাহায্য করেছে। ইতিমধ্যেই বিহারে কলকাতা পুলিশের এসটিএফের একটি বিশেষ ইউনিট ভক্ত বংশী ঝাঁয়ের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ৷
তল্লাশিতে এসটিএফের হাতে এসেছে বেশকিছু ছবি এবং গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ৷ যা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। বালি ব্রিজের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে, নয়াদিল্লিতে থাকার সময়ও নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ছবি তুলেছিল ভক্ত বংশী ঝাঁ। সেগুলি পাকিস্তানে পাঠানো হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। আগামিদিনে আরও বেশকিছু সেতুর ছবি পাঠানোর কথা ছিল ধৃতের। তবে তার আগেই তাকে পাকড়াও করে পুলিশ। এখন ওই মহিলার খোঁজ চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।
ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, বেশ কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানি এক মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ হয় ভক্ত বংশীর।তবে ওই মহিলা কোনওদিনও ভারতে এসেছেন কি না বা ভক্ত বংশী কখনও পাকিস্তানে গিয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । এছাড়াও ভক্ত বংশীর ব্যবহারকারী একাধিক ফোন ঘেঁটে তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ভক্ত বংশীর সঙ্গে পাকিস্তানের একাধিক ব্যক্তির বিভিন্ন সন্ত্রাস এবং নাশকতামূলক কথাবার্তা হয়েছিল। গত শনিবার সকালে বিহার থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ ৷
আরও পড়ুন:বড় সাফল্য কলকাতা পুলিশের! বিহার থেকে পাক গুপ্তচর সন্দেহে গ্রেফতার এক