পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

শব্দবাজির দাপটে ক্ষুব্ধ নগরপাল, আরও বেশি সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ - কলকাতায় শব্দবাজিক তাণ্ডব

নিষেধাজ্ঞা ছিল । ব্যাপক ভাবে চালানো হয়েছিল প্রচারও । তারপরেও ঠেকানো গেল না নিষিদ্ধ বাজি । কালীপূজা ও দীপাবলির সন্ধে থেকে শহর কলকাতা ও শহরতলি দেখল শব্দবাজির তাণ্ডব । রাত বাড়তে রীতিমতো কান ঝালাপালা হল শহরবাসীর ।

শব্দবাজি

By

Published : Oct 28, 2019, 9:55 PM IST

কলকাতা, 28 অক্টোবর : কড়া নিরাপত্তা থাকলেও অব্যাহত ছিল শব্দবাজির তাণ্ডব। গতকাল নিয়মের তোয়াক্কা না করেই কলকাতাবাসীর একাংশ মেতে ওঠেন শব্দবাজিতে । বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা । আজ সমস্ত বিভাগীয় DC ও থানার OC-দের নির্দেশ দিয়েছেন, কড়া হাতে শব্দ বাজির দাপট কমানোর ।

রাত বাড়তেই শব্দবাজি তাণ্ডব থাবা বসিয়ে ছিল গতকাল । এরই মাঝে ঘটে যায় বেহালা ও কসবার ঘটনা । বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে যান পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা । কথা বলেন মৃত বছর পাঁচেকের আদি দাসের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে । গতরাতে বেহালার বড়িশায় আদি ঠাকুরমার হাত ধরে রাস্তায় হাঁটছিল । বাজি পোড়ানোর জেরে দৃশ্যমানতা কম ছিল ওই এলাকায় । হঠাৎই তীব্র গতিতে তুবড়ির খোল এসে বেঁধে আদির গলায় । ঠাকুরমার গায়ে ঢলে পরে সে । গলা দিয়ে ফিনকি দিয়ে ওঠে রক্তস্রোত । তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে । সেখানেই মৃত্যু হয় তার । ঘটনার কথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে । বিষয়টি আসলে কী তা জানতে চান । আজ হরিদেবপুর থানা এই ঘটনায় দুই বাজি ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে । তাদের নাম বরুণ রায় ও বিজয় সরদার ৷

নিষেধাজ্ঞা ছিল । ব্যাপক ভাবে চালানো হয়েছিল প্রচারও । তারপরেও ঠেকানো গেল না নিষিদ্ধ বাজি । কালীপূজা ও দীপাবলির সন্ধে থেকে শহর কলকাতা ও শহরতলি দেখল শব্দবাজির তাণ্ডব । রাত বাড়তে রীতিমতো কান ঝালাপালা হল শহরবাসীর ।

কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল সন্ধে 8 টা থেকে 10 টা পর্যন্ত ফাটানো যাবে বাজি । মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকার কথা। রীতিমতো লিফলেট ছড়িয়ে, পোস্টার লাগিয়ে সেই প্রচার চালিয়েছিল পুলিশ । কলকাতা পৌরনিগমের পক্ষ থেকে দক্ষিণ কলকাতায় দেশপ্রিয় পার্ক ও ট্রায়াঙ্গুলার পার্ককে বাজি ফাটানোর জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছিল । কিন্তু সে সবে থোরাই কেয়ার । তবে গতরাতে শব্দবাজি আটকাতে পথে নেমেছিল পুলিশ । নিষিদ্ধ শব্দবাজি পোড়ানোর জন্য সবথেকে বেশি গ্রেপ্তার করা হয় ইস্ট সুবারবান ডিভিশনে । সেখানে গ্রেপ্তারের সংখ্যা 134 । সাউথ সুবারবান ডিভিশনে গ্রেপ্তারি 130 । সাউথ ইস্ট ডিভিশনে 102 । সব মিলিয়ে নিষিদ্ধ বাজি পোড়ানোর দায়ে গ্রেপ্তার করা হয় 758 জনকে ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details