কলকাতা, 10 জুন:নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেনের জমি বিতর্ক নিয়ে বহুদিন ধরেই উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি ৷ ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষ ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে ৷ মার্কিন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জর্জ আর্থার একলর্ফ-সহ বিদেশের প্রায় 300 জনেরও বেশি গুণীব্যক্তি অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়ে এই চিঠি লিখেছেন। তারপরেই সুর নরম করল বিজেপি ৷ বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং অমর্ত্য সেনের সঙ্গে মধ্যস্থতা করে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে ৷
এই প্রসঙ্গেই শনিবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "অমর্ত্য সেন ভারত মাতার অন্যতম গুণী সন্তান । আমার মনে হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও সেন উভয়পক্ষকেই বসিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা দরকার । কারণ অমর্ত্য সেনের আন্তর্জাতিক খ্যাতি এবং গুণ বিষয়ে প্রশ্ন তোলার ক্ষমতা নেই । তাঁর জন্য আমরা গর্বিত ভারতবাসী হিসেবে । তবে কেউই তো আইনের ঊর্ধ্বে নয় । সে প্রধানমন্ত্রী হোক বা নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ হোন । তার বিরুদ্ধে যখন এরকম একটা গুরুতর জমি বিতর্কের অভিযোগ উঠছে সেটাও গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত । দ্রুত দু’পক্ষের বসে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া দরকার ।"
পাশাপাসি সিপিএম নেতা রবিন দেব প্রবীন অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেনের জমি বিতর্কে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন ৷ সেই সঙ্গে বিজেপি'কেও কাটক্ষ করেন ৷ তিনি জানান, এতদিন ধরে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী যা করেছেন তা আর এসএস-এর নির্দেশে । কিন্তু আন্তর্জাতিক স্তর থেকে চিঠি পাওয়ার পরে পরিস্থিতি বুঝতে পেরেছেন বিজেপি ৷ আর বেগতিক বুঝেই সুর নরম হয়েছে সুকান্ত মজুমদারের ৷ তাই এখন দু'পক্ষকে সামনাসামনি বসিয়ে মিটিয়ে ফেলার কথা বলছেন ৷ গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে বিষয়টা অনেক আগেই মিটিয়ে ফেলা যেত বলে তিনি জানান । কিন্তু তা না-করে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী আরএসএসের নির্দেশে এমন অনেকগুলি পদক্ষেপ করেছেন যা জাতীয় স্তরে তো বটেই আন্তর্জাতিক স্তরে অসম্মানজনক।