কলকাতা , 25 এপ্রিল : কোরোনা ভাইরাস মোকাবিলায় দেশ ও রাজ্যবাসী , রাজ্যের সব বিরোধীদল , লকডাউন প্রক্রিয়ার মধ্যেই রয়েছে । এই অবস্থায় রাজ্যের দুস্থ মানুষের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করা হয়নি । এই অভিযোগ জানিয়ে আজ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান এবং পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি দিলেন । এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ-এর আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলের এই দুই নেতা । কিন্তু এখনও মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে সময় দেওয়া হয়নি ।
লকডাউনের বাস্তব প্রয়োজনীয়তা স্বীকার অথবা বিশ্বাস করে মানুষ যথার্থই সদর্থক ভূমিকা পালন করছেন । গরিব মানুষ , কৃষক , শ্রমজীবি , নিম্নবিত্ত মানুষ সহ প্রায় সবাই যথেষ্ট অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন । সকলেই গৃহবন্দী । লকডাউনের সাফল্যের মূল ভিত্তি হচ্ছে , গৃহবন্দী মানুষের কাছে খাদ্য এবং আনুষঙ্গিক জরুরি বিষয়গুলি পৌঁছে দেওয়া । কিন্তু তা করা হচ্ছে না ৷ সেক্ষেত্রে মানুষ যথেষ্টই বিপদে । এমনটাই জানাচ্ছে বিরোধীরা ৷
এক্ষেত্রে বামপন্থী দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন , এক মাসের বেশি সময় ধরে শ্রমিকদের কাজ বন্ধ । মানুষের হাতে পয়সা নেই । ওষুধসহ জিনিসের দাম ঊর্ধ্বমুখী । বাজার খোলা , অথচ জরুরি এবং প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার মতো সামর্থ্য নেই মানুষের । খেতমজুর, দিনমজুর, অসংগঠিত শ্রমিক, অস্থায়ী-ক্যাজ়ুয়াল-চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক কর্মচারী, সাধারণ গৃহ শিক্ষক , ছোটো দোকান-ব্যবসায়ীরা সংকটে ।
সংসার বাঁচানোর সংকট । কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি করা হয়েছিল, তাঁদের মাসে ন্যূনতম সাড়ে সাত হাজার টাকার প্যাকেজ দেওয়ার জন্য । কিন্তু এই পরিবারগুলির গ্রাসাচ্ছাদনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বাস্তবে কিছুই করেনি । সর্বদলীয় বৈঠকে দাবি জানানো হয়েছিল যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যেন ন্যূনতম দুই হাজার টাকা করে প্যাকেজ দেওয়া হয় । এটা খুবই জরুরি । যত দ্রুত সম্ভব এই ব্যবস্থা কার্যকর করার জন্য আজ মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হল ।