কলকাতা, 9 সেপ্টেম্বর: শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলছেন না ৷ চলছে আক্রমণ পালটা আক্রমণের পালা ৷ রাজ্য বনাম রাজ্যপাল সংঘাত থামার লক্ষণই নেই ৷ এই আবহে এবার বিরোধীদের তরফে ধেয়ে এল কটাক্ষের ঢেউ ৷
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বললেন, "বাংলায় শিক্ষা-সংস্কৃতিকে সর্বনাশ করার জন্য এটা একটা অত্যন্ত নিকৃষ্ট মনের ঝগড়া। যেটার কোনও মানে হয় না বা প্রয়োজন নেই । রাজ্যপাল যেমন বেঠিকভাবে চলছেন, ঠিক তেমনই রাজ্য সরকারও সেই বেঠিকভাবে চলার পথ প্রশস্ত করে দিচ্ছে । এটা রাজ্যপাল বা রাজ্য সরকারের সংঘাত নয় । রাজ্য সরকার বা রাজ্যপালের সংঘাত হবে আইন-নীতি নিয়ে । প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে । এটা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত পর্যায়ে নিকৃষ্ট মনের ঝগড়া । ক্ষমতার ঝগড়া । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আচার্য হতে চান । রাজ্যপালও আচার্য হয়ে ক্ষমতার দম্ভ দেখাতে চান । রাজ্য সরকারের কোনও অধিকার নেই, তেমনই রাজ্যপালকেও একতরফাভাবে অযোগ্যদের নিয়ম না-মেনে ভিসি পদে বসানোর অধিকার কে দিয়েছে । নিজের খেয়াল খুশির মত কাজ করার অধিকার নেই রাজ্যের ।"
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পুরো ঔরঙ্গজেবের মত ভূমিকা পালন করছেন। এটাই তো তৃণমূল, এটাই রাজ্য সরকার । রাজ্যপাল তাঁর সাংবিধানিক অধিকার বলে কাজ করছেন । কিন্তু সাংবিধানিক গাইডলাইন অনুযায়ী সরকার চলতে পারে না। এ সরকার চলতে দেওয়া যায় না । এই সরকারের যাওয়ার সময় হয়ে এসেছে । যাওয়ার বেলায় এই সমস্ত নোংরা, কদর্য ভাষায় অসংবিধানিক আক্রমণ করছে । নাট্য ব্যক্তিত্ব বাংলার শিক্ষার সংস্কৃতিকে কলুষিত করছে । অন্যদিকে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা শিক্ষামন্ত্রীকে অশিক্ষিত বলে কটাক্ষ করেন ৷ তিনি বলেন, "উনি টুইটে কী বললেন শুধুমাত্র একাই জানে । আর কেউ জানে না । একজন অশিক্ষিত অপসংস্কৃতির লোক শিক্ষামন্ত্রীর গদিতে বসেছে ।"