কলকাতা, 2 মার্চ: খাস কলকাতায় অনলাইন প্রতারণা (Online Fraud in Kolkata) চক্রের হদিশ । তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলের (Cyber Cell) গোয়েন্দারা 65 লক্ষ টাকা-সহ এক ব্যক্তিকে ট্যাংরা থানা এলাকার ক্রিস্টোফার রোড থেকে গ্রেফতার করেছে । ধৃত ওই ব্যক্তির নাম বেঞ্জামিন আলি । তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই ঘটনায় আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করবেন তদন্তকারীরা ।
ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে মামলা: ধৃতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনে মামলা রুজু করেছেন সাইবার সেলের গোয়েন্দারা । বেঞ্জামিনের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট, বিভিন্ন মোবাইল ফোনের সিম কার্ড ও একাধিক এটিএম কার্ড ।
লোক ঠকানোর কারবার: লালবাজার সূত্রের খবর, অভিযুক্ত মূলত ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে ও একাধিক নথিপত্র দেখিয়ে অনলাইনে সোনার মূল্য ধার্য করত । এটি ছিল মূলত লোক ঠকানোর কারবার । অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এক কোটি 33 লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছে লালবাজার ।
ধৃত চারজনকে জেরা করে তথ্য পান গোয়েন্দারা: এই ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমে সাইবার সেলের গোয়েন্দারা সঞ্জয় যাদব, রাজেশ টুঙ্গার, বিবেক টুঙ্গার, যুবরাজ আগরওয়াল নামে চার যুবককে গত 18 নভেম্বর গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিলেন । হেফাজতে নিয়ে ধৃতদের লাগাতার জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পান গোয়েন্দারা । ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ব্যক্তিকে এবং বিভিন্ন সংস্থাকে তারা ঠকিয়েছে এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই নতুন করে তদন্ত নামেন কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলের গোয়েন্দারা ।
আরও পড়ুন:নেট জগতের অপরাধ রুখতে লালবাজারের নয়া হাতিয়ার 'সাইবার সাথী'
বিদেশি সাইবার দস্যু-যোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ: লালবাজার সূত্রের খবর, বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রথমে প্রতারণার টাকা ট্রান্সফার করা হত, এরপর সেই টাকা চটজলদি অ্যাকাউন্টগুলি থেকে তুলে নিতেন অভিযুক্তরা । লালবাজারের গোয়েন্দাদের অভিযোগ, এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে কোনও বিদেশি সাইবার দস্যু যোগাযোগ থাকতে পারে । নয়া অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়ার পর এই ঘটনায় যুক্ত বাকি অভিযুক্তদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করবেন গোয়েন্দারা ৷ সেই জেরা থেকে একাধিক নতুন তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা ।