কলকাতা, 30 সেপ্টেম্বর: ফের মা ফ্লাইওভারে বড়সড় দুর্ঘটনা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে গেল গাড়ি। গাড়িতে ছিলেন মোট 5 জন যাত্রী। ওই 5 জন যাত্রীর মধ্যে চারজন মহিলা এবং একজন ড্রাইভার ছিলেন। শুক্রবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পার্ক সার্কাসের মা ফ্লাইওভারের উপরে।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্যরাতে মা উড়ালপুলের উপর বিকট শব্দ হয়। গাড়িটি স্বাভাবিক গতির থেকে অনেক বেশি গতিতে চিংড়িঘাটার দিকে যাচ্ছিল। আচমকা গাড়িটি টাল সামলাতে না-পেরে উলটে যায়। গাড়ির গতি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে গাড়িটি বেশ কয়েকবার পালটি খেয়ে যায়। এরপর ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছয় কলকাতা পুলিশ। গাড়িটি কার্যত দুমড়ে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে আনা হয় কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পুলিশ কর্মীদের। পাশাপাশি, নিয়ে আসা হয় ক্রেনও। গ্যাস কাটার মাধ্যমে গাড়িটিকে কেটে সেখান থেকে মোট পাঁচজনকে বার করা হয়।
পাঁচজনকেই রক্তাক্ত অবস্থায় কলকাতা পুলিশের অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ওই গাড়িতে প্রত্যেকেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তবে তদন্ত আরও না এগোলে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। গাড়িটির ফরেন্সিক পরীক্ষা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে মা উড়ালপুলে এমন পথ দুর্ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে তিলোত্তমার গর্বের এই উড়ালপুল।
দৈর্ঘ্যে মা উড়ালপুল অনেকটাই বড়। এসএসকেএম হাসপাতালে সামনে থেকে শুরু হয়ে এই উড়ালপুল শেষ হচ্ছে চিংড়িঘাটার কাছে। এই উড়ালপুলে কলকাতা পুলিশের চারটি থানা পড়ছে। পাশাপাশি একটি অংশ পড়ছে বিধাননগর কমিশনারেটর আওতায়। অভিযোগ, এই কারণে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে বিধাননগর কমিশনারেটের ট্রাফিক বিভাগের সমন্বয়ের অভাব বরাবরই পরিলক্ষিত হয়েছে। আরও অভিযোগ, মা উড়ালপুল এত বড় বলে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্টরা সবসময় কর্তব্যরত অবস্থায় থাকতে পারেন না। এদিকে, ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:সম্মানরক্ষার্থে মেয়েকে জ্বালিয়ে দিল পরিবার, গ্রেফতার মা ও ভাই