কলকাতা, 17 জানুয়ারি : জরুরি ভিত্তিতে দেশে কোরোনা ভ্যাকসিনেশন শুরু হয়েছে । তবে, এই ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে খোদ ফ্রন্টলাইন হেলথকেয়ার ওয়ার্কারদের মধ্যেই যেমন রয়ে গিয়েছে আতঙ্ক, তেমনই রয়ে গিয়েছে অনীহা । যার জেরে, প্রথম দিন, 100 শতাংশ ভ্যাকসিনেশনে পৌঁছতে পারল না পশ্চিমবঙ্গ । কোরোনার বিরুদ্ধে চলা যুদ্ধে প্রথম সারিতে থাকা চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের এই আতঙ্ক-অনীহার কারণে প্রথম দিন পঁচাত্তর শতাংশ টিকাকরণ করতে পারল রাজ্য।
জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য কোভিড-19-এর দুটি ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার । কোরোনার বিরুদ্ধে চলা যুদ্ধে প্রথম সারিতে যে সব চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন প্রথম পর্যায়ে দেওয়া হচ্ছে ভ্যাকসিন । এই রাজ্যে কোভিড-19-এর ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড দেওয়া হচ্ছে । এদিকে, এদেশে যেভাবে জরুরি ভিত্তিতে কোভিড-19-এর ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেই বিষয়ে যেমন ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে, তেমনই COVID-19-এর ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েও ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে ।
আতঙ্কের কারণে রাজ্যে কম ভ্যাকসিনেশনের হার এই সংক্রান্ত খবর :হাসপাতালে ভরতি নার্স, টিকা নেওয়ার ফলেই কি অসুস্থ ?
রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে কোরোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে এই রাজ্যের খোদ ফ্রন্টলাইন হেলথকেয়ার ওয়ার্কারদের মধ্যেই দেখা দিয়েছে আতঙ্ক, অনীহা। যদিও, কোভিড-19-পরিস্থিতির মধ্যে ভ্যাকসিনের অপেক্ষা চলছিল । তবে, এই আতঙ্ক, অনীহার কারণে 16 জানুয়ারি, প্রথম দিনে একশ শতাংশ ভ্যাকসিনেশনে পৌঁছতে পারল না পশ্চিমবঙ্গ । প্রথম দিনে কত শতাংশ ভ্যাকসিনেশন সম্ভব হল? রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তী বলেন, "16 জানুয়ারি রাজ্যে 20 হাজার 700 জনকে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল । ভ্যাকসিনেশনের প্রথম দিনে 15 হাজার 707 জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে ।" তিনি বলেন, " 16 জানুয়ারি রাজ্যে 75.9 শতাংশ ভ্যাকসিনেশন সম্ভব হয়েছে । কলকাতায় এই হার 92 শতাংশ । " রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, "কো-উইন অ্যাপে বিভ্রাটের কারণে প্রথম দিন ভ্যাকসিনেশনের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়েছে। তবে, অনেকে ভ্যাকসিন নিতে আসেননি । এর কারণ হিসেবে, কোনও ক্ষেত্রে যেমন আতঙ্ক কাজ করেছে, তেমনই কোনও ক্ষেত্রে অনীহা কাজ করেছে । ভ্যাকসিন আগে নেব না, কিছু দিন দেখা যাক, পরে নেব এমন মনোভাব-ও অনেকের মধ্যে দেখা গিয়েছে ।"
রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, প্রথম দিন গোটা রাজ্যের ভ্যাকসিনেশনের হার 75.9 শতাংশ । তবে, প্রথম দিন কোনও কোনও জেলায় ভ্যাকসিনেশনের এই হার অনেক কম হয়েছে । সোমবার ফের টিকাকরণ হবে । ভ্যাকসিনেশনের হার কীভাবে বাড়িয়ে তোলা সম্ভব হতে পারে, সেই বিষয়টি রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের ভাবনা-চিন্তায় রয়েছে।