কলকাতা, 28 ডিসেম্বর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজে 100 দিনের কাজের বরাদ্দ বকেয়া নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন ৷ রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী নিজে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন ৷ তারপরেও মিলছে না একশো দিনের কাজের টাকা ৷ স্বাভাবিকভাবেই শ্রমিকদের এই প্রাপ্য বরাদ্দ নিয়ে সরব হয়েছে রাজ্য সরকার ৷ রাজ্যের এই দাবিকে কার্যত সমর্থন করল এনআরইজিএ সংগ্রাম মোর্চা ৷ এক বছরের বেশি সময় ধরে মানরেগা-র (MGNREGA) বকেয়া টাকা না দেওয়ায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হল এই সংগঠন (NREGA Morcha Raises MGNREGA Fund due Issue) ৷
প্রসঙ্গত, আগামী শুক্রবার 30 ডিসেম্বর রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi West Bengal Visit) ৷ তার আগে আরও একবার রাজ্য রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল কেন্দ্রের তরফে 100 দিনের অর্থ না-দেওয়ার বিষয়টি ৷ প্রসঙ্গত, গতবছর 25 ডিসেম্বরের পর থেকেই 100 দিনের প্রকল্প (100 days work) অর্থাৎ, মহাত্মা গান্ধি জাতীয় গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পের মজুরি খাতে কেন্দ্রের কাছে অর্থ পায়নি রাজ্য সরকার ৷ এবার এই নিয়েই সরব হয়েছে এনআরইজিএ সংগ্রাম মোর্চা ৷ এক প্রেস বিবৃতি জারি করে এই সংগঠনের তরফে থেকে দাবি করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পে যে 7500 কোটি টাকা আটকে রেখেছে তা অবিলম্বে দিতে হবে ৷
এই সংগঠনের আরও দাবি, রাজ্যের 100 দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের গত বছরের ডিসেম্বর থেকে মজুরি দেওয়া হয়নি ৷ এমন ঘটনা আদতে তাঁদের মৌলিক অধিকারকে খর্ব করা ৷ সংগঠনটির তরফে বলা হয়েছে, অবিলম্বে বকেয়া মজুরি দিতে হবে, সমগ্র সময়ের জন্য প্রতিদিন 0.05 শতাংশ হারে বিলম্বের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিও জানিয়েছে তারা ৷ একইসঙ্গে নতুন কাজ এবং জব কার্ড শুরু করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি ৷ উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্যের 100 দিনের কাজ বাবদ যে 7500 কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে ৷ তার মধ্যে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরির পরিমাণ 2774 কোটি টাকা ৷
সংগঠনের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে টাকা বন্ধ করার জন্য কাঠগড়ায় তোলা হলেও, তাদের এই বক্তব্য খারিজ করে দিয়েছেন বিজেপি নেতারা ৷ তাদের পাল্টা বক্তব্য সময়ে হিসেব না দেওয়া এবং কেন্দ্রীয় অর্থ নয়-ছয়ের ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে ৷ এ প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘কেন্দ্র রাজ্যের মানুষের জন্য তহবিল ছাড়তে প্রস্তুত ৷ তবে তার আগে, রাজ্য সরকারকে ইতিমধ্যে বরাদ্দকৃত তহবিল কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে ৷ তৃণমূল নেতা-কর্মীরা কীভাবে কেন্দ্রীয় তহবিলের অপব্যবহার করেছে, তা রাজ্যের মানুষ জানে ৷ এমনকি তারা কেন্দ্রের স্কিমগুলির নাম পরিবর্তন করে, নিজের নাম দিয়ে ব্যবহার করছে ৷ এইরকম পরিস্থিতিতে, কেন্দ্র দুর্নীতির অবসান ঘটাতে তহবিল বন্ধ করে দিয়েছে ৷’’