কলকাতা, ২৯ মার্চ : একদিকে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে গতকাল অনশন তুলে নিয়েছেন SSC চাকরিপ্রার্থীরা। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবিতে SSC চাকরিপ্রার্থীদের থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে অনশনে বসেছে আরেকটি দল। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বুধবার বিকাল ৪টে থেকে প্রেস ক্লাবের কাছে অনশনে বসেন প্রায় ১২৫ জন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের অভিযোগ, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন তার নিজস্ব গেজ়েটের নিয়ম ও মাদ্রাসায় নিয়োগ নিয়ে ২০১৭ সালের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘন করেছে। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী তাই তাঁর হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন তাঁরা।
অনশন কর্মসূচি থেকে কী কী দাবি তোলা হচ্ছে? আর কীভাবে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন দুর্নীতি করছে? এবিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে আসা চাকরিপ্রার্থী গণেশ ঘটক বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের ষষ্ঠ SLST পরীক্ষায় আমরা সকলেই উত্তীর্ণ। ২০১৩ সালের ষষ্ঠ SLST পরীক্ষার নোটিফিকেশন অনুযায়ী, আমরা যে শূন্যপদ দেখেছিলাম সেটা হচ্ছে ৩১৮৩টি। ২০১৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছিল। যেখানে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগে পর্যন্ত ভ্যাকেন্সি কাউন্ট হবে। সেক্ষেত্রে, ভ্যাকেন্সি নিশ্চয়ই বাড়ার কথা। কিন্তু ২০১৮ সালের ২২ জুন যখন চূড়ান্ত প্যানেল প্রকাশিত হয় সেখানে দেখা গেছে চেয়ারম্যান প্রেস মিট করে বলেছেন, মাত্র ২৫৬০টি ভ্যাকেন্সিতে নিয়োগ করা হচ্ছে। অথচ আমরা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন মাদ্রাসায় খোঁজ নিয়ে দেখেছি, সেটা ২৫৬০ নয়, ১৯০০-র আশপাশে। চেয়ারম্যান নিজের গেজ়েট নিজেই লঙ্ঘন করেছেন। শুধু তাই নয়, আমাদের কাছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আছে। দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসা শিক্ষায় তথা মাদ্রাসা স্কুলগুলিতে শিক্ষকের অভাবে ছাত্রদের শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে। এজন্য সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল। যেখানে বলা হয়েছে শিশুদের শিক্ষার স্বার্থে ২৬০০-র বেশি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। কমিশন সেই নির্দেশও লঙ্ঘন করেছে। আমরা প্রত্যেকেই পরীক্ষায় পাশ করে, ইন্টারভিউ দিয়েও আজ বঞ্চিত।"