কলকাতা, 27 নভেম্বর : রূপান্তরকামীবলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের M.Phil কোর্সে ভরতিতে সমস্যায় পড়েন এক আবেদনকারী । এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগও করছিলেন রুপান্তরকামী আলিয়া শেখ ৷ বাড়ি মহেশতলার দক্ষিণ বেলেডাঙা । মামলার প্রেক্ষিতে আজই ভরতির নতুন ফর্ম চালু করল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ৷ নতুন এই আবেদনপত্রে পৃথকভাবে তৃতীয় লিঙ্গের উল্লেখ করল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৷
অভিযোগকারী আলিয়া শেখ ক্লিনিকাল সাইকোলজিতে MPhil করার আবেদন জানান কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে । কিন্ত ভর্তির আবেদনপত্রে পুরুষ ও নারীদের ক্যাটেগরির কথা লেখা থাকলেও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য পৃথক কোনো ক্যাটেগরি ছিল না ফর্মে । ফলে তিনি ভর্তি হতে পারছিলেন না । এদিকে আজই ছিল আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ।
আলিয়া শেখ দাবি করেছিলেন আবেদনপত্রে তৃতীয় লিঙ্গের জন্য পৃথক একটি ক্যাটেগরি করা হোক ৷ পাশাপাশি রূপান্তরকামী হওয়ার জন্য সংরক্ষণের সুযোগও তাঁর পাওয়া উচিত ৷ কারণ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে OBC ক্যাটেগরিতে একটি শূন্যপদ পড়ে রয়েছে । এদিকে সুপ্রিম কোর্ট 2014 সালে একটি মামলার নির্দেশে জানিয়েছিল একজন রূপান্তরকামীকে যতটা সম্ভব সংরক্ষণের সুযোগ দিতে হবে । তাহলে তাঁকে কেন সুযোগ দেওয়া হবে না? এই দাবিতে গতকাল কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আলিয়া ৷ এমনই জানালেন আলিয়া শেখের আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ দে ও সাগ্নিক মুখার্জি ৷
আরও পড়ুন : "ভোট দিতে গিয়ে বহুবার অপমানিত হয়েছি", বললেন রূপান্তরকামী কুসুম
বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা দায়ের করা হয়েছিল । আজ মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আইনজীবী নীলোৎপল চ্যাটার্জি বলেন, "ফর্মে তৃতীয় লিঙ্গের উল্লেখ ছিল না । সেটা আমরা সংশোধন করে দিচ্ছি । তবে তৃতীয় লিঙ্গের কেউ OBC ক্যাটেগরির সুযোগ পাবে কিনা সেটা চূড়ান্ত হয়নি । কারণ এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কোন সুনির্দিষ্ট আইন নেই । এই ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে নির্দেশ নিয়ে তারপর জানানো সম্ভব হবে । " এই বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী মামলাটির পরবর্তী শুনানির দিন আগামী শুক্রবার ধার্য করেন । শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় জানাবে OBC ক্যাটেগরিতে আলিয়া শেখকে ভর্তি করা যাবে কিনা ।