কলকাতা, 31 মে:শুধু নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে নয় বরং স্থানীয় একটি ক্লাবের নির্বাচনে জিততেও দুর্নীতির ছক সাজিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু ৷ বুধবার এমন তথ্যই সামনে এসেছে ৷ রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে মঙ্গলবার রাতেই সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করেছেন ইডি'র তদন্তকারীরা ৷ আদতে বেহালার বাসিন্দা কালীঘাটের কাকু ৷ ইডি তদন্তকারীদের দাবি, মাস খানেক আগে বেহালার একটি ক্লাবে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ।
তদন্তকারীদের দাবি, তাঁকে ভোট দিলে মিলবে সরকারি চাকরি, স্থানীয় ওই ক্লাবের নির্বাচনেও এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘায়ের কাকু ৷ ইতিমধ্যেই যেই ব্যক্তিকে কালীঘাটের কাকু চাকরির টোপ দিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা । তদন্তকারীদের ওই ব্যক্তি জানিয়েছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র তাঁকে বলেছিলেন, তিনি ক্লাবের নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন । নির্বাচনের ভোটটা যেন তাঁকে দেওয়া হয় । তিনি কথা দিয়েছিলেন যদি তিনি জেতেন তাহলে তাঁকে জলসম্পদ দফরে চাকরি দেওয়া হবে । বুধবার এই বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে ৷
এছাড়াও তদন্ত নেমে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন বিভিন্ন জেলায় নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত একাধিক এজেন্ট কাজ করতেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের হয়ে । এর আগে সদ্য তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অপর বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বিভিন্ন জেলার এজেন্ট বা দালালদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা কালেকশনের দায়িত্বে ছিলেন তারা ৷ কিন্তু সেই টাকা তারা সরাসরি ভাগ করতে পারতেন না তাঁরা, সেই টাকা ভাগের দায়িত্ব কালীঘাটের কাকুর কাঁধে অর্পন করা হয় ৷ তিনিই ওই কোটি কোটি কালো টাকা একত্রিত করে হিসাব অনুযায়ী বিভিন্ন প্রভাবশালীদের কাছে পৌঁছে দিতেন ।
আরও পড়ুন: কাদের চাকরি দিতে হবে সেই নির্দেশ মানিককে দিতেন কালীঘাটের কাকু, দাবি তদন্ততকারীদের
এদিন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের 14 দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷ ফের 14 জুন তাঁকে আদালতে তোলা হবে ৷ বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালত নির্দেশ দিয়েছে 48 ঘণ্টা অন্তর অন্তর তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে ৷ তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি ৷