কলকাতা, 8 জানুয়ারি: বিষক্রিয়াতেই মৃত্যু হয়েছে নিউ আলিপুরের যুবতির । ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে সেটাই । রিপোর্ট বলছে, শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না । কোন লিগেচার মার্কও নেই । অর্থাৎ গলায় কোনও ফাঁসের দাগ নেই । কিন্তু তাতেও কাটেনি রহস্যের জট । যুবতির মায়ের ভূমিকা নিয়ে রহস্য রয়েই গেছে ।
29 ডিসেম্বর কাটিহার যাচ্ছিলেন নিউ আলিপুরের বাসিন্দা নিলম ধানানি(50) । হাওড়া স্টেশনে তিনি অসুস্থ বোধ করেন । স্টেশন কর্তৃপক্ষ তাঁকে ভরতি করে হাওড়া স্টেট জেনেরাল হাসপাতালে । গতকাল নিলম তাঁর দাদা বিজয়কে ফোন করে জানান, মেয়ে গুড্ডন ওরফে কাভি (26) আত্মহত্যা করেছে । বাড়িতেই আছে দেহ । তারপর নিউ আলিপুর থানার খবর দেন গুড্ডনের মামা ৷ এরপর 9বি সাহাপুর রোডের একটি বহুতল থেকে গুড্ডনের দেহ উদ্ধার করে নিউ আলিপুর থানার পুলিশ ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, দেহটি খাটের উপর ছিল । পরনে ছিল পরিষ্কার জামাকাপড় । তবে দেহটিতে পচন ধরতে শুরু করেছিল । ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল দড়ির ফাঁস । ঘর থেকে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট । সেটি গুড্ডনের মা নিলমের লেখা । সুইসাইড নোটে মেয়ের বিয়ে ভেঙে যাওয়াকে আত্মহত্যার কারণ হিসেবে জানিয়েছেন তিনি ।
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে গুড্ডনের । পুলিশি তদন্ত জানা গেছে, মাস সাতেক আগে বিয়ে ঠিক হয়েছিল গুড্ডনের । কিন্তু কোনও কারণে সেই বিয়ে ভেঙে যায় । তারপরেই না কি দুজনে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন ।