নয়াদিল্লি, 21 মার্চ: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মহুয়া মৈত্রকে টিকিট দেবে না তৃণমূল কংগ্রেস ৷ টুইটার হ্যান্ডেলে এমন ভবিষ্যদ্বাণী এক নেটিজেন ৷ তাঁর নাম শশী এস সিং ৷ নেটিজেন নিজেকে সেফোলজিস্ট হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন ৷ তিনি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে নির্বাচন বিশ্লেষণে পারদর্শী, রাজনৈতিক রণকৌশলী (A vote strategist tweets over Mahua Moitra Loksabha Election 2024) ৷ কিন্তু কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন বলেই জানা গিয়েছে ৷ স্বভাবত এতে উত্তপ্ত সামাজিক মাধ্যম ৷ কৃষ্ণনগরের লোকসভা সাংসদ মহুয়াও তাঁকে পালটা প্রশ্ন করেছেন, "আপনাকে কে বলল ?"
রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির গোপন আঁতাত আছে ৷ প্রায়শ বিজেপি-বিরোধী দলগুলির কণ্ঠে এই কথা শোনা যায় ৷ এদিকে 24 জানুয়ারি শিল্পপতি গৌতম আদানির বিষয়ে শর্ট সেলার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশ করে ৷ সেখানে আদানি বিরুদ্ধে শেয়ারে কারচুপি-সহ আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ তোলা হয়েছে ৷ তারপর থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র আদানি সংস্থার বিরুদ্ধে একের পর এক টুইট করে যাচ্ছেন ৷ শিল্পপতি গৌতম আদানি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ বলেও কানাঘুষো শোনা যায় ৷ সংসদে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি প্রশ্ন করেছেন, "আপনার (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) সঙ্গে শিল্পপতি গৌতম আদানির সম্পর্ক কী ?" ৷ কাজেই আদানি ইস্যুতে তোলপাড় সংসদ, দেশের রাজনীতি ৷ আদানি সংস্থার দুর্নীতি নিয়ে অন্যতম প্রধান বিজেপি-বিরোধী মুখ হয়ে উঠেছেন কৃষ্ণনগরের লোকসভা সাংসদ মহুয়া মৈত্র ৷ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ মনে করছে, এই কারণে এমন উসকানিমূলক টুইটটি করেছেন একজন তথাকথিত অ-রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং ভোটকুশলীর দাবিদার ৷
আরও পড়ুন: আদানির জন্য এলআইসির 3200 কোটি টাকা ক্ষতি, দাবি মহুয়ার