কলকাতা, 31 মার্চ: থানার ভিতরে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনকে হেনস্থা । অভিযোগ উঠল তিলজলা থানার অফিসার ইনচার্জের বিরুদ্ধে । পুলিশ কর্মীরা ওই প্রতিনিধিদের কথোপকথন ক্যামেরার মাধ্যমে রেকর্ড করেন বলেও অভিযোগ ৷ সম্প্রতি তিলজলা থানা এলাকায় 7 বছরের এক নাবালিকাকে অপহরণ করে যৌন হেনস্থার পর খুনের ঘটনা ঘটেছে ৷
সেই ঘটনা প্রসঙ্গে জানতেই শুক্রবার জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা তিলজলার ওই এলাকায় মৃতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যান । তাদের এই সফর ও কর্মসূচির বিষয়ে আগেই রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি'কে চিঠি দিয়েছিলেন কমিশনের প্রতিনিধিরা । স্থানীয় থানায় যাওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন তাঁরা ৷
তবে এদিন শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিদের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, খুন হওয়া নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে তাঁদের একান্তে কথা বলতে দেওয়া হয়নি । তাঁদের এক প্রকার ওই নাবালিকার বাড়ি থাকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । এরপরেই তিলজলা থানায় যান ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা । সেখানে পুলিশের সঙ্গে তাঁরা কথা বলতে চান । জানতে চান নাবালিকার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট কী বলা হয়েছে ৷ পাশাপাশি, পুলিশ এই ঘটনার পর কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে তাও তাঁরা জানতে চান ৷
অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে এদিন যখন কথা বলছিলেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা সেই সময়ে বডি ক্যামেরার মাধ্যমে কথাবার্তা রেকর্ড করছিলেন থানার অফিসার ইনচার্জ ৷ এরপরই পুলিশ কেন গোটা বিষয়ের ভিডিয়ো রেকর্ডিং করছে, এই প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদ করেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা । সেই ক্যামেরা তাঁরা ছিনিয়ে নিতে গেলে, পুলিশ তাঁদের বাধা দেয় ৷ তিলজলা থানার অফিসার ইনচার্জের বিরুদ্ধে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিদের হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে ৷
আরও পড়ুন: কী লুকোচ্ছে বাংলার সরকার ? তিলজলা ও মালদার ঘটনায় প্রশ্ন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের