নওশাদ সিদ্দিকীর জেলমুক্তি কলকাতা, 4 মার্চ: জামিন মিলেছিল বৃহস্পতিবারই ৷ শনিবার আলিপুর সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পেলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ৷ টানা 42 দিন জেলে থাকার পর মুক্তি পেলেন তিনি ৷ এদিন জেল থেকে বেরনোর পর পুরনো মেজাজেই ধরা দিয়েছেন নওশাদ ৷ কর্মী-সমর্থকদের উচ্ছ্বাসের মধ্যে এদিন জেল থেকে বের হন তিনি (ISF MLA Nawsad Siddique)৷
এদিন আলিপুর সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে নওশাদের স্পষ্ট হুশিয়ারি,"আগের মতই লড়াই চলবে । ভয় পায়নি ! ভয় দেখিয়ে লাভ নেই ।" এদিন জেল থেকে বেরোনোর সময় কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারি খবর পান নওশাদ ৷ তিনি জানান, কৌস্তভ যদি অন্যায় করে না থাকেন এবং তাঁকেও যদি বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়ে থাকে তাহলে তিনি লড়াইয়ে কংগ্রেস নেতার পাশে আছেন ৷
উল্লেখ্য, গত 21 জানুয়ারি কলকাতার ধর্মতলায় অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে ৷ পুলিশের উপর হামলা, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযোগ দায়ের হয় তাঁর বিরুদ্ধে ৷ গ্রেফতার করা হয় তাঁর 82 জন সহকর্মীকেও ৷
আরও পড়ুন: সাগরদিঘিতে হেরে তৃণমূলে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি, পর্যালোচনা বৈঠকে উঠে এল অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব
এই দীর্ঘ 42 দিনের মধ্যে একাধিকবার আদালতে নওশাদের জামিনের আবেদন খারিজ হয় ৷ তাঁর গ্রেফতারির বিরুদ্ধে পথে নামে বাম-কংগ্রেস ৷ তবে জামিনের পরেও কেন 2 দিন লাগল নওশাদের জেল থেকে বেরতে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ৷ তিনি বলেন,"কয়লা, গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে তিহার জেলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত । কিন্তু তাকে রাজ্য সরকার রাজ্যে রাখার জন্য নানারকম বন্দোবস্ত করে আটকাতে চাইছে । অন্যদিকে, ভাঙরের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর জামিন ঘোষণার পরও দু'দিন লেগে গেল তাকে জেল থেকে বার করতে । এইতো হাল রাজ্য পুলিশের ।"