কলকাতা, 14 অগাস্ট : রাতের অন্ধকারে খুন কলকাতায় । তারপর মৃতদেহ বানতলা এলাকায় কোথাও ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয় । কিন্তু সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেল পুলিশের তৎপরতায় । উদ্ধার হল দেহ । ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।
তখনও দিনের আলো ফোটেনি । ভোর চারটে দশ । পশ্চিম চৌবাগা এলাকায় পুলিশের মোটরসাইকেলে বিশেষ প্যাট্রোলিং চলছিল । প্যাট্রোলিংয়ে থাকা পুলিশকর্মীরা হঠাৎই দেখতে পান একটি ট্যাক্সিতে সবজি রয়েছে । ভালো করে দেখলে বোঝা যায় সবজির আড়ালে উঁকি দিচ্ছে মানুষের মাথা । সবজিতে রক্ত লেগে আছে । সঙ্গে সঙ্গে থামানো হয় ট্যাক্সি । চালককে ডিকি খোলার জন্য বলা হয় । ট্যাক্সির পিছনে যখন পুলিশ এবং চালক তখন তা থেকে নেমে যাওয়ার চেষ্টা করছে দুই যাত্রী । একজন পুরুষ এবং একজন মহিলা । থামানো হয় তাদের । ট্যাক্সিটি নিয়ে যাওয়া হয় প্রগতি ময়দান থানায় । জানা যায়, ট্যাক্সিতে ওই দুই যাত্রীর নাম মলিনা মণ্ডল এবং অজয় রং। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ । তাতেই জানা যায় খুন হওয়া মহিলার নাম সুজাতা গায়েন(60) । তিনি কবরডাঙা এলাকার বাসিন্দা । সম্পর্কে তিনি মলিনার বড় মেয়ের শাশুড়ি ।
ট্যাক্সির ডিকিতে সবজির আড়ালে মৃতদেহ, গ্রেপ্তার 3
তখনও দিনের আলো ফোটেনি । ভোর চারটে দশ । পশ্চিম চৌবাগা এলাকায় পুলিশের মোটরসাইকেলে বিশেষ প্যাট্রোলিং চলছিল । প্যাট্রোলিংয়ে থাকা পুলিশকর্মীরা হঠাৎই দেখতে পান একটি ট্যাক্সিতে সবজি রয়েছে । ভালো করে দেখলে বোঝা যায় সবজির আড়ালে উঁকি দিচ্ছে মানুষের মাথা ।
ট্যাক্সি
পুলিশ সূত্রে খবর , জেরায় মলিনা স্বীকার করে নিয়েছে মেয়ের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তার শাশুড়িকে খুন করেছে সে । তবে শুধুমাত্র একা মলিনা নয় , সঙ্গে ছিল অজয় এবং তার স্বামী । লাঠি দিয়ে মেরে গলা টিপে খুন করে বাসন্তী হাইওয়ে ধারে দেহ লোপাটের চেষ্টায় ছিল তারা । কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় তারা ধরা পড়ে যায় ।