কলকাতা, 14 অগস্ট: 15 অগস্ট স্বাধীনতা দিবসের পাশাপাশি উদযাপিত হয় দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম কাণ্ডারী ঋষি অরবিন্দ ঘোষের জন্মদিন ৷ এই অরবিন্দ ঘোষ ও অন্যান্য বিপ্লবীরা ব্রিটিশদের তাড়াতে সংগ্রামের নীল নকশা সাজাতেন মানিকতলার মুরারীপুকুর থেকে ৷ আলিপুর বোমা মামলার কথা উঠলেই অপরিহার্য ভাবে উঠে আসে মুরারিপুকুর বোমা কারখানার নাম । এই গোটা তাল্লাট ছিল বিপ্লবীদের আঁতুড়ঘর । এখান থেকেই ইংরেজ বাহিনীকে নাস্তানাবুদ করার ছক সাজাতেন ক্ষুদিরাম বসু থেকে শুরু করে অরবিন্দ ঘোষ, উল্লাসকর দত্ত, নলিনী গুপ্ত-সহ একাধিক বিপ্লবী ৷ তাঁদের মধ্যেই একদল মুরারিপুকুরের বাগানবাড়িতে বোমা তৈরি করতেন । প্রশিক্ষণ দিতেন । স্বাধীনতার 76 বছর পূর্তিতে সেই বিপ্লবের আঁতুড়ঘরের অস্তিত্ব আজ বিলীন ।
অরবিন্দ ঘোষের গ্রেফতারস্থল সেই বাড়ি আজ পরিণত বহুতলে । সামনে শুধু একটি ফলক । একই ভাবে অরবিন্দ ঘোষ, বারীন ঘোষদের বাগান বাড়ির বিন্দুমাত্র অস্তিত্ব নেই । আছে শুধু বোমার মাঠ নামে পরিচিত একটি এলাকা ও বারীন ঘোষ, উল্লাসকর দত্তের নামে রাস্তা ৷ বোমার মাঠের বিপ্লবীদের স্মৃতি রক্ষা করতে স্থানীয় কাউন্সিলর অমল চক্রবর্তী ও শ্রীঅরবিন্দ পাঠ মন্দিরের তরফে মাঠের একাংশ রেলিং দিয়ে ঘিরে চিলড্রেনস পার্ক করা হয়েছে । যার গেটের সামনে একটি ফলক দেওয়া । পাশাপশি অরবিন্দ ঘাটের কাছে অরবিন্দ ঘোষের মূর্তি ও 14 জন বিপ্লবীর নামাঙ্কিত ফলক লাগানো হয়েছে ।