কলকাতা, 6 সেপ্টেম্বর: বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালের নামকরণ যাদবপুরে মৃত ছাত্রের নামে করা হয়েছে। যাদবপুরের ঘটনায় মৃত ছাত্রের মা-বাবা নবান্নে এসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন ৷ সে সময়ই ওই এলাকার গ্রামীণ হাসপাতাল মৃত ছাত্রের নামে করার আবেদন জানিয়েছিল তার পরিবার। পরিবারের দাবি মেনে নিয়ে 24 ঘণ্টার মধ্যেই সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে রাজ্য সরকার। তবে এখানেই শেষ নয়, শোকস্তব্ধ ওই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতোই কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের উপস্থিতিতে ওই ছাত্রের মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হল স্বাস্থ্য ভবনে অ্যাটেন্ডমেন্টের চাকরির নিয়োগপত্র।
একইসঙ্গে, মৃত ছাত্রের ভাইয়ের শিক্ষার সমস্ত দায়িত্বভার রাজ্য সরকার নিজের হাতেও তুলে নিয়েছে। নবান্ন সূত্রে আরও খবর মিলেছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাদবপুরের ঘটনায় মৃত ছাত্রের স্মৃতির উদ্দেশ্যে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে এই ছাত্রের একটি মূর্তি বসানোরও নির্দেশ দিয়েছেন। মোটের উপর কথা রাখলেন মমতা। সরকারি কাজে লাল ফিতে ফাঁসের অভিযোগ ওঠে বিভিন্ন সময়। কাজেই সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়িত হতে সময় লাগে। কিন্তু এখানে সব ঘটলো মাত্র 24 ঘণ্টার ব্যবধানে। এতেই খুশি যাদবপুরে মৃত ছাত্রের পরিবার।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার লালবাজারে যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে গোপন জবানবন্দি দিতে এসেছিলেন ওই ছাত্রের মা-বাবা ৷ তখনই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের উপস্থিতিতে ছাত্রের মায়ের হাতে স্বাস্থ্য ভবনে অ্যাটেন্ডডেন্টদের চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। এতদিন এই মৃত ছাত্রের মা আশাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। এবার তিনি স্বাস্থ্য দফতরে কাজ করবেন বলেই জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার পুলিশের তরফ থেকেও মৃত ছাত্রের পরিবারকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। তদন্তে কোনও গাফিলতি যেমন হবে না, তেমনই যাদবপুরের ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে বলেও কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে পরিবারকে।
আরও পড়ুন: বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালের নাম বদল যাদবপুরের মৃত পড়ুয়ার নামে, প্রতিবাদ এলাকাবাসীর
প্রসঙ্গত, ঘটনার পর দিন থেকেই যাদবপুরে মৃত ছাত্রের পরিবারের তরফ থেকে রাজ্য সরকারের উপর পুরোপুরি আস্থা রাখা হয়েছিল। যে পথে ঘটনাক্রম এগোচ্ছিল তাতে সরকারের ভূমিকারও প্রশংসা করা হয়েছিল। এখানেই শেষ নয়, গত সোমবার যখন ওই ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আসেন সেখানে ছাত্রের মা-বাবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়শী প্রশংসাও করেন। তারা জানিয়ে দেন রাজ্য সরকারের উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে তাদের। আর তাদের এই আস্থা প্রকাশের একদিনের মধ্যেই রাজ্য সরকারও যে তাদের পাশে রয়েছে কাজে তার প্রমাণ দিল নবান্ন।