Municipal Recruitment Scam: ইডির স্ক্যানারে এবার একাধিক পৌরসভার প্রায় দেড় হাজার চাকুরিজীবী

পরীক্ষার ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখছে ইডির গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত তারা দেড় হাজারের বেশি নাম পেয়েছে। যাঁরা অবৈধভাবে পৌরসভায় চাকরি পেয়েছেন। এছাড়াও তারা বর্তমানে বহাল তবিয়তে চাকরিও করছেন।

কলকাতা, 2 অক্টোবর: পৌরসভায় এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তে নেমে ইডির নজরে প্রায় দেড় হাজার চাকুরিজীবী। সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্স সূত্রে খবর, 2014 থেকে 2018 সালের মধ্যে কীভাবে পৌরসভাগুলিতে নিয়োগ হয়েছিল, এছাড়াও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কী ভূমিকা ছিল অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজোনের, সেসব খতিয়ে দেখতে চায় ইডি ৷

এরই সঙ্গে, পরীক্ষার ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন ইডির গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত তারা দেড় হাজারের বেশি নাম পেয়েছে। যাঁরা অবৈধভাবে পৌরসভায় চাকরি পেয়েছেন। তারা বর্তমানে বহাল তবিয়তে চাকরিও করছেন। রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে নেমে, গত 19 মার্চ ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলকেও গ্রেফতার করে ইডির তদন্তকারীরা। তাঁর সংস্থা এবিএস ইনফোজোনের সল্টলেকের অফিস থেকে, পৌরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত প্রচুর নথিও উদ্ধার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। আর তখনই সামনে আসে পৌরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনা। ফলে এবার স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি, পৌর নিয়োগ দুর্নীতিরও তদন্ত চালাচ্ছে ইডি এবং সিবিআই।

দুর্নীতির তদন্তে উত্তর 24 পরগনার 12টি পৌরসভা যেমন ছিল, তেমনি নদিয়ার দুটি পুরসভাতেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরই মধ্যে সামনে আসল চাঞ্চল্যকর তথ্য। অয়ন শীলের অফিসকে আদালতে ডেটা মাইন বা তথ্যের খনি বলে উল্লেখ করেছে ইডি। এবার তাঁর অফিস থেকে যে চাকরি প্রার্থীদের নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছিল, তার সঙ্গে এই দেড় হাজারের বেশি তালিকার নাম মিলিয়ে দেখা হবে বলে ইডির তদন্তকারীরা। আগামী দিনে তাঁদের তলব করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

তাদের থেকে মূলত জানতে চাওয়া হবে, তাঁরা কি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, নাকি কারও সুপারিশে ? চাকরি পেতে কি টাকার লেনদেন হয়েছিল ? যদি হয়ে থাকে, সেই টাকা কে নিয়েছিলেন তাও জানার চেষ্টা চালাবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।