World Bio Diversity Day: আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবসে জঙ্গলমহলে বনৌষধি তৈরিতে জোর দেওয়ার নির্দেশ মন্ত্রীর - জঙ্গলমহলে বনৌষধি তৈরিতে জোর দেওয়ার নির্দেশ
বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখলেন পরিবেশ মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া ৷ জঙ্গলমহল-সহ রাজ্যের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে বনৌষধি তৈরিতে জোর দিতে নির্দেশ দিলেন তিনি ৷
কলকাতা, 22 মে: শুধু পাহাড়ে বা উত্তরবঙ্গে নয় । সমতল ভূমি তথা দক্ষিণবঙ্গের বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার মত জঙ্গলমহল এলাকায়ও বনৌষধি তৈরিতে জোর দেওয়ার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী । সোমবার আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবসে সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে পশ্চিমবঙ্গ জীববৈচিত্র্য পর্ষদ বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে । জীববৈচিত্র্য মানুষের জীবন-জীবিকার মূল রসদ-তার অস্তিত্বের প্রধান ভিত্তি ব্যাখ্যা করে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তা তুলে ধরেন পর্ষদের চেয়ারম্যান হিমাদ্রিশেখর দেবনাথ । তারপরেই বক্তব্য রাখেন রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী মানসরঞ্জন ভূঁইয়া । বক্তব্যেই রাজ্য জীববৈচিত্র্য পর্ষদের চেয়ারম্যানকে বলেন, "শুধু পাহাড়েই বনৌষধি তৈরির কাজ করলে হবে না । বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার মত জেলাগুলোতেও এই কাজ করতে হবে । বিশেষ করে আদিবাসী মানুষজনের মধ্যে বনৌষধি উৎপাদন এবং তার ব্যবহার অত্যাধিক রয়েছে ৷ তাই আদিবাসী অধ্যুষিত দক্ষিণবঙ্গের সমতলভূমি সমৃদ্ধ জেলাগুলিতেও প্রাকৃতিক বনৌষধি তৈরিতে জোর দিতে হবে ।"
মন্ত্রী আরও বলেন, "পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান এই আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে আদিবাসী ভাইবোনেরা নিজেদের উদ্যোগে মেডিসিন প্ল্যান্ট উৎপাদন করেন । এই মারাত্মক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের দফতর এবং বায়োডাইভারসিটি বোর্ড পাহাড়ি অঞ্চল-সহ এই অঞ্চলগুলোতেও মেডিসিন প্ল্যান্ট উৎপাদনে জোর দিক । প্রয়োজনে জেলাশাসক থেকে শুরু করে লোকাল প্রশাসন স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়- কলেজ ও স্কুলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় সেগুলোকে পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা ।"
পশ্চিমবঙ্গ জীববৈচিত্র্য পর্ষদ চেয়ারম্যান হিমাদ্রিশেখর দেবনাথ বলেন, "জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশকে তার পুরনো ছন্দে ফিরিয়ে আনতে এবং পরবর্তী প্রজন্মের জীবন-জীবিকা সহজ-স্বাভাবিক করতে সকল স্তরের মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা একান্ত আবশ্যক । জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, তার সুস্থিত ব্যবহার এবং জীববৈচিত্র্যর বাণিজ্যিক ব্যবহার উদ্ভূত লভ্যাংশের সমবণ্টন । সেগুলোই আবার নতুন করে ফিরে দেখা । সেই উদ্দেশ্যগুলো সামনে রেখেই আশু কর্তব্য নির্দেশিত হয়েছে সুস্থিত ও পরিবেশবান্ধব কৃষি বনভূমির সুস্থিত ব্যবহার । বন্যপ্রাণের মাত্রাতিরিক্ত আহরণে সীমা টানা । জীবসম্পদ সম্পর্কিত পরম্পরালব্ধ জ্ঞান ও প্রথাকে মান্যতা দেওয়া জীবসম্পদের বাণিজ্যিক ব্যবহার উদ্ভূত লাভের সুষমবণ্টন সুনিশ্চিত করা ।জীবসম্পদ ও তার গুরুত্ব সম্পর্কে সমস্ত স্তরের মানুষকে সচেতনতা করা । জীববৈচিত্র্য সংক্রান্ত বিষয়কে উন্নয়নের মূল ধারায় যুক্ত করা ।"
আরও পড়ুন :জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে লাগাতার কাজ করছে সুন্দরবনের 'বায়োডাইভারসিটি পার্ক'