কলকাতা, 3 জানুয়ারি: আগামী রবিবার ডিওয়াইএফআইয়ের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির ডাকে ব্রিগেড সমাবেশ । 7 জানুয়ারি সাতটি মিছিল আসবে ব্রিগেডে । তারই প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা করতে বুধবার ব্রিগেডের মাঠ ঘুরে দেখলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, ধ্রুবজ্যোতি সাহা ও কলতান দাশগুপ্তরা । সিপিএম যুব সংগঠনের বক্তব্য অনুযায়ী, চুরি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই ব্রিগেডে ইনসাফ সভা । যেখানে গত 3 নভেম্বর কোচবিহার থেকে শুরু হওয়া মিছিলে ও রাজ্যজুড়ে প্রায় এক লাখ কৌটো বিভিন্ন মানুষের বাড়ি পৌঁছেছিল আর্থিক সাহায্যের জন্য । যেখানে ভিক্ষুক সমাজও এক দুই টাকা করে দিয়েছিল ৷ বাস কন্ডাক্টর থেকে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ, সকলে নিজেদের সাধ্যমতো দান করেছিলেন । সেই টাকার হিসাব 7 জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশে দেওয়া হবে । তবে শুধু কৌটো নেড়ে নয়, কিউআর কোড অর্থাৎ অনলাইন ট্রানজেকশনের মাধ্যমেও এই আর্থিক সাহায্য নেওয়া হয়েছে । এখনও নেওয়া হচ্ছে ডিওয়াইএফআইএর তরফে ।
এই বিষয়ে ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, "মানুষের ঘামের টাকায় এই সমাবেশ হচ্ছে । এই সমাবেশের খরচ মানুষ দিচ্ছে । তাই এর প্রতি পয়সার হিসাব সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হবে । ওই টাকা আমাদের লড়াইয়ের সাহস জোগাচ্ছে । এক বাস কন্ডাক্টর টিকিট কাটতে কাটতে কৌটোয় যাত্রীদের থেকে এক ও দু'টাকা করে নিয়েছে ব্রিগেডের জন্য । তাদের কষ্টের টাকার হিসাব আমরা দেব । গোটা রাজ্য ও দেশজুড়ে দুর্নীতির মাঝে রাজনৈতিক স্বচ্ছতা প্রকাশ করা আমাদের কর্তব্য ।"
এই ব্রিগেডের সমর্থনে গত 3 নভেম্বর কোচবিহার থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে পদযাত্রা শুরু করেছিলেন তাঁরা । কোচবিহার, মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, দুই 24 পরগনা, হাওড়া ও হুগলি ঘুরে দীর্ঘ 2 হাজার 910 কিলোমিটার হেঁটে কলকাতার যাদবপুর বাসস্ট্যান্ডে এই পদযাত্রা শেষ হয় । এখনও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই ব্রিগেডের সমর্থনে পথসভা চলছে । চলছে আর্থিক সাহায্যের জন্য বাড়ি বাড়ি কোটো নিয়ে ব্রিগেডের সমর্থনে প্রচার ।
এই বিষয়ে বাম যুবকর্মীরা জানিয়েছে, বিভিন্ন বেসরকারি থেকে শুরু করে সরকারি কর্মী, ডাক্তার, আইনজীবী, চাকরিপ্রার্থী, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি সকলকে আবেদন জানানো হয়েছে ব্রিগেড সমাবেশে আসার জন্য । কারণ, কাজ শিল্পের দাবিতে যেমন পথে নামা হয়েছে, ঠিক তেমনি অস্থায়ী কর্মীদের চাকরির নিরাপত্তা ও বয়স্ক মানুষদের জন্য সামাজিক সুরক্ষার কথাও তুলে ধরা হবে এই সমাবেশে ।