কলকাতা, 20 এপ্রিল : একদিকে কোরোনার আতঙ্ক । অন্যদিকে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি । বিশেষ করে আলুর মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধিতে জেরবার মধ্যবিত্তরা।
কোরোনা সংক্রমণের রুখতে চলছে লকডাউন । অফিস-কাজ সব বন্ধ । কিছু অফিসে বাড়ি থেকে বসে কাজের সুবিধা দিলেও সব জায়গায় তা নেই । ফলে ছাঁটাই হয়েছে কর্মী । তাই অনেক মধ্যবিত্তের পকেটেই টান পড়েছে । তার উপর আলুর মতো একটি সবজির ক্রমশ বাড়তে থাকা দাম । সবকিছু মিলিয়ে জাঁতাকলে পড়েছে মধ্যবিত্তরা ।
কলকাতার বিভিন্ন বাজারে এখন জ্যোতি আলুর দাম প্রতি কিলোতে 23-24 টাকা । আর চন্দ্রমুখী আলুর দাম প্রতি কিলোয় 28-30 টাকা । এরপরে যে আর আলুর দাম বাড়বে না সেবিষয়েও নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না ।
কোল্ড স্টোরেজগুলি বন্ধ থাকার কারণেই আলুর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান এগ্রি মার্কেটিং কমিটির পশ্চিমবঙ্গ টাস্কফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে । তিনি বলেন, "এখন বাজারে যে আলুগুলি বিক্রি হচ্ছে সেগুলি মাঠের আলু । কারণ এখন কোল্ড স্টোরেজ বন্ধ রয়েছে । ফলে, কৃষকদের থেকেই প্রতি কিলোয় 16-18 টাকা দরে কিনতে হচ্ছে । সেই আলু যখন বাজারে আসছে তখন স্বাভাবিকভাবেই দাম অনেকটা বেড়ে যাচ্ছে । কোল্ড স্টোরেজগুলি না খুললে আলুর দাম কমবে না । এই পরিস্থিতিতে আলুর মূল্যবৃদ্ধি মানুষের উপর একটা বাড়তি চাপ তো বটেই । তবে, রাজ্য সরকার যদি সময়ের একটু আগে কোল্ড স্টোরেজগুলি খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করে তাহলে আলুর দাম অনেকটাই কমবে বলে আশা করা যায় ।"
আলুর দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে রবীন্দ্রনাথ কোলে কোল্ড স্টোরেজগুলির বন্ধ থাকার বিষয়টি তুলে ধরেছেন ঠিকই । একইসঙ্গে একথাও তিনি স্বীকার করেছেন যে, এই সুযোগে অনেকে কালোবাজারিও করছে । তিনি বলেন, "বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বহু অসাধু ব্যবসায়ী আলু এবং শাক-সবজির দাম অনেক বাড়িয়ে বিক্রি করছে । তাই আমি তাদের সবাইকে অনুরোধ করব যেন ন্যায্য দামেই আলু বিক্রি করা হয় ।"