কলকাতা, 20 সেপ্টেম্বর:জোর কদমে চলছে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ । এই বছরেই চালু হয়ে যেতে পারে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত যাত্রী পরিষেবা । চলতি বছরের রেল বাজেট পেশের সময়ে এমনটাই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব । তাই নতুন বছর শুরুর আগে ওই অংশকে বাণিজ্যিকভাবে চালু করতে বদ্ধপরিকর কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড বা কেএমআরসিএল । প্রয়োজনে বৌবাজার এলাকায় কাজের সময় ‘গ্রাউন্ড ফ্রিজিং প্রযুক্তি’ ব্যবহার করা হবে ৷
পাশাপাশি অরেঞ্জ লাইন অর্থাৎ কবি সুভাষ থেকে এয়ারপোর্ট মেট্রো করিডর, পার্পেল লাইন অর্থাৎ জোকা থেকে এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডরের কাজও চলছে । গ্রিন লাইন অর্থাৎ হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রো ৷ হাওড়া ময়দান থেকে শুরু হয়ে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ হয়ে এই লাইন চলে যাচ্ছে তেঘরিয়া-হলদিরাম পর্যন্ত । হুগলি নদীর নীচ দিয়ে মেট্রো নিয়ে যাওয়ার কাজ একেবারে শেষের মুখে ৷ সব কিছু ঠিকঠাক এগোলে শীঘ্রই চালু হয়ে যাবে পরিষেবা । তবে শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেডের মধ্যে কাজের সময় একাধিক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে ৷
এই প্রসঙ্গেই কেএমআরসিএল-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ভি কে শ্রীবাস্তব জানান, যে আগামী বছরের 24 জুনের মধ্যেই এই অংশের কাজ শেষ করে পরিষেবা চালু করার দেওয়ার লক্ষমাত্র নেওয়া হয়েছে ৷ অর্থাৎ কাজ আশানুরূপ এগোলে পরের বছর জুন মাসের মধ্যেই হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত পরিষেবা চালু হয়ে যাবে । এই পরিষেবা চালু হলে ইতিহাসে একটি মাইল ফলক সৃষ্টি হবে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ ৷
গ্রিন লাইনের এই কাজ করার সময়েই বৌবাজারে মাটির নীচে ধসের কারণে একাধিকবার বাধার সন্মুখীন হয়েছেন কেএমআরসিএল ৷ সমস্যা রয়েছে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারেও । তাই এইবার এই অংশের কাজের মুশকিল আসান করতে কেএমআরসিএল- দ্বারস্থ হতে চলেছে নরওয়ের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থার । অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে মাটির নীচের জল জমিয়ে বরফ করা হবে । বিশেষ এই প্রক্রিয়ার নাম "গ্রাউন্ড ফ্রিজিং" প্রযুক্তি। কেএমআরসিএল-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ভি কে শ্রীবাস্তব আশ্বস্ত করে জানান, যে ভারতে প্রথমবার এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতে চলেছে । আগামী 6 মাসের মধ্যে এই কাজ শুরু হয়ে যাবে ৷