কলকাতা, 5 জানুয়ারি: হুগলি নদীর নিচ দিয়ে যাবে মেট্রো । মাথার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে জল আর নিচে সুড়ঙ্গ চিরে দৌড়চ্ছে মেট্রোরেল । এই অনুভূতিকে আরও রোমাঞ্চকর করে তুলতে সুড়ঙ্গের ভেতরেই জলের আবহ তৈরি করতে চলেছে কলকাতা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ।
কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, "হুগলি নদীর নীচে দিয়ে মেট্রো সফরের স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে কলকাতাবাসীর । 520 মিটারের এই টানেল যাতায়াতের সময় যাতে অন্যরকম অনুভূতি পান তার জন্য নতুন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । এই টানেল অতিক্রম করতে সময় লাগবে 45 সেকেন্ড । এই যাত্রাপথকে সুন্দর ও স্মরণীয় করে রাখতে সুড়ঙ্গ পথ ঘন নীল আলোয় সুসজ্জিত করতে চলেছি । যেন মনে হবে জলরাশির মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি । ট্রেনের ভিতরে আবহ হবে অন্যরকম।"
দুই পড়শি শহর কলকাতা ও হাওড়াকে যুক্ত করছে এই সুড়ঙ্গ । ইতিমধ্যেই মেট্রোসফরকে আকর্ষণীয় করে তুলতে সুড়ঙ্গের ভিতরে কৃত্রিম আলো এবং বিভিন্ন ধরনের জলের আওয়াজ অর্থাৎ সাউন্ড এফেক্ট ব্যবহার করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে । যাঁরা দুবাই অ্যাকোয়ারিয়াম এবং আন্ডারওয়াটার জু দেখেছেন তাঁরা এই অনুভূতি সম্পর্কে নিশ্চই জানেন । তবে সুড়ঙ্গের দুই পাশে জলের মধ্যে আবহ সৃষ্টি করে তার ভেতর দিয়ে ছুটে যাচ্ছে ট্রেন, এমন অনুভব এবার পেতে চলেছে শহরবাসীও । সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য 520 মিটার । আর এই পুরো সুড়ঙ্গপথকেই একটা আন্ডার ওয়াটার ট্রাভেলের অনুভূতি দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে । স্বাভাবিকভাবেই এই অংশের পরিষেবা চালু হয়ে গেল 45 সেকেন্ডের সুড়ঙ্গ পথের এই যাত্রা বিস্মিত করবে আট থেকে আশি সকলকেই ।
সুড়ঙ্গে যে শুধু আলোর খেলা থাকবে তেমনটাই নয়, বিশেষ লাইট দিয়ে সুড়ঙ্গের দু'দিকে এমন এক ছায়াছবি তৈরি করা হবে যাতে খেলা করে বেড়াবে অসংখ্য মাছ এবং জলের প্রাণী । এই ধরনের 40টি রং-বেরংয়ের মাছ পুরো যাত্রাপথে আলোর জলে খেলা করে বেড়াবে বলে জানা গিয়েছে । হুগলি নদীর জলস্তর থেকে প্রায় 33 মিটার নীচে তৈরি হয়েছে এই জোড়া সুড়ঙ্গপথ । মাত্র 66 দিনের রেকর্ড সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ করা হয়েছে সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজ ।