কলকাতা, 14 সেপ্টেম্বর: নিত্যদিনই খবরের শিরোনামে উঠে আসছে মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ৷ যার জেরে দিনের ব্যস্ত সময়ে থমকে যাচ্ছে মেট্রোরেল ৷ রাস্তায় আটকে পড়ছেন যাত্রীরা ৷ গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে দেরি ৷ এমন পরিস্থিতিতে মেট্রোকে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছনোর মাধ্যম হিসাবেই বেছে নিতে বার্তা দিলেন কর্তৃপক্ষ ৷ আত্মহত্যার সহজ পথ যে নয় মেট্রো, সে কথাই বলতে শোনা গেল মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্রকে ৷ তিনি বলেন, "সুইসাইড হোক এবং ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাক, আমরা চাই না ৷ আমরা সুস্থভাবে যাত্রীদের পরিষেবা দিতে চাই ৷ আমরা সবসময়ই চেষ্টা করি মানুষকে বাঁচাতে ৷ তবে মেট্রোকেই আত্মহত্যা করার পথ হিসাবে বেছে নিচ্ছেন মানুষজন ৷"
কলকাতা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আত্মহত্যা রুখতে বদ্ধপরিকর তারা । পোস্টার, ব্যানার, বিজ্ঞাপন এবং সচেতনতামূলক প্রচারের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চলছে । এর পাশাপাশি আত্মহত্যাপ্রবণ ব্যক্তি ও তাদের বাড়ির লোকেদের সহায়তার জন্য রয়েছে বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর । এর পাশাপাশি 24 ঘণ্টা সিসিটিভি নজরদারি চালানো হয় প্ল্যাটফর্মে । প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা কোনও ব্যক্তির অস্বাভাবিক আচরণ নজরে এলেই তাকে রুখতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় । তাই আরপিএফ এবং রেল কর্মীদের সর্বদা সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া রয়েছে । কলকাতা মেট্রোরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, শহর কলকাতায় যখন থেকে মেট্রো চালু হয় অর্থাৎ 1984 থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় 361 জন মেট্রোয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছেন । এই সংখ্যার মধ্যে মোটর ম্যান এবং মেট্রোরেলের কর্মীদের তৎপরতায় বাঁচানো গিয়েছে মোট 188 জনকে । তবে 187 জনের মৃত্যু রোখা সম্ভব হয়নি ।