কলকাতা, 10 মে : রোগীদের ভরতি নেওয়া এবং আউটডোর পরিষেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে । তবে, জরুরি বিভাগ চালু থাকবে । এমন পরিস্থিতি এই মেডিকেল কলেজের প্রায় 200 বছরের ইতিহাসে এই প্রথম বলে জানা গেছে । সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী আগামী 11 মে থেকে এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আউটডোরের পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে । এর পাশাপাশি COVID-19-এ আক্রান্ত এবং COVID-19 সন্দেহের রোগী বাদে অন্য কোনও রোগীকে এখানে ভরতি নেওয়া হবে না, এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর । কারণ, রাজ্যের অন্যতম COVID হাসপাতাল হিসাবে পুরোদমে পরিষেবা চালু হতে চলেছে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ।
গতকাল, মগতকাল, কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ পৃথক একটি নোটিস ইশু করেছে । এই নোটিসে জানানো হয়েছে, আগামী 11 মে থেকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আউটডোরের পরিষেবা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে । তবে, ফিভার ক্লিনিক এবং HIV নিয়ন্ত্রণের জন্য চালু ART সেন্টার খোলা থাকবে। গতকাল ছিল আপাতত এই হাসপাতালের আউটডোরের পরিষেবা দেওয়ার শেষ দিন । কারণ, রবিবার আউটডোর বন্ধ থাকে । আগামীকাল অর্থাৎ 11 মে থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আউটডোরের পরিষেবা বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ ইশু করা হয়েছে। এদিকে, COVID-19-এর পরিস্থিতি থেকে কবে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাওয়া সম্ভব হবে, সেই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরাও এখনও পর্যন্ত সেভাবে কিছু জানাতে পারেননি ।
কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এ রাজ্যের অন্যতম COVID হাসপাতাল হিসেবে পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে প্রস্তুতি আগেই শুরু হয়েছে । যদিও লকডাউনের কারণে হাসপাতালে রোগীদের সংখ্যা কমে গেছে। তার উপর এই হাসপাতালকে কেন্দ্র করে COVID-19 সংক্রমণের আতঙ্ক । কারণ, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্স, অন্য কর্মী এবং রোগী মিলিয়ে 33 জনের ক্ষেত্রে COVID-19 সংক্রমণের খোঁজ পাওয়া গেছে । যার জেরেও, COVID-19 সংক্রমণের আশঙ্কায় এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বিভিন্ন বিভাগে রোগীদের সংখ্যা আরও কমে গেছে । এই পরিস্থিতির মধ্যে COVID হাসপাতাল হিসাবে পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রস্তুতির অঙ্গ হিসাবে এখানে নতুন রোগীকে ভরতি নেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ এবং চিকিৎসাধীন রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তরের বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই পদক্ষেপ করেছে বলে জানা গেছে ।