কলকাতা, 6 অক্টোবর: দশমীর দিন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে (Durga Idol Immersion Accident) ৷ জলপাইগুড়ির মাল নদীতে বিসর্জন চলছিল, সেইসময় হঠাৎ হড়পা বান আসে এবং জলের স্রোতে তলিয়ে মৃত্যু হয় 8 জনের ৷ এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (MD Salim) । একইসঙ্গে গোটা ঘটনায় প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগ তুলে কড়া আক্রমণ করেছেন তিনি ।
সেলিম এক বিবৃতিতে বলেন, "মর্মান্তিক এই ঘটনার এক ও অন্যতম কারণ পৌরসভা ও প্রশাসনের উদ্যোগে নদীর ডানহাতি প্রবাহকে বালির বাঁধ দিয়ে আটকে নদীর বুকে বিসর্জনের মেলা প্রাঙ্গণ তৈরি করা । এ যাবৎ দফায় দফায় বহুবার, এমনকী দিন কয়েক আগেও এই ডানহাতি স্রোত হঠাৎ করেই ভয়াবহ হয়ে ওঠে । মাল শহরের দিক থেকে এসে ওইখানে মাল নদীর ডানহাতি প্রবাহে বিসর্জন করে ফিরলে কখনই এত ভয়াবহ ঘটনার কোনও সম্ভাবনাও ছিল না ।"
তিনি আরও অভিযোগ করেন, "মাল নদীর বুকে ওইটুকু জায়গায় কার্নিভালের জৌলুসে মানুষকে সামিল করার জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটল ৷ প্রশাসনের খামখেয়ালি মনোভাবেই শিশু, মহিলা ও বৃদ্ধ-সহ এতগুলি প্রাণ আকালে চলে গেল । উদ্ধার না হওয়া আরও ক'জন মানুষ ভেসে গেল সেটাও জানার উপায় নেই । মাঝরাত থেকে সকাল অবধি আমাদের কমরেডরা প্রবল বৃষ্টি ও অন্ধকারে গ্রামবাসীদের নিয়ে তল্লাশি চালায় ৷ ঘটনাস্থল থেকে 5 থেকে 6 কিমি পর্যন্ত দুপারের মাল ও নেওড়া নদীর মিলনস্থলের বিস্তীর্ণ নদীবক্ষে তল্লাশি চালানো হয় ৷ কিন্তু কোথাও সকাল আটটা পর্যন্ত প্রশাসনের, পুলিশের বা বিপর্যয় মোকাবিলার কোন দলের দেখা পাওয়া যায়নি । এমনকী তিস্তা সেতুর নীচেও তল্লাশির কোনও তৎপরতা দেখা যায়নি ।" (MD Salim criticises administration for Durga Idol Immersion Accident)
আরও পড়ুন:জলপাইগুড়ির ঘটনায় শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর, দুর্ঘটনার দায় কার ? উঠছে প্রশ্ন
সেলিম বলেন, "শুধু সমবেদনা নয়, শোকার্ত পরিবেশেও নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ও মৃত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ানো দরকার ৷ এছাড়া দোষীদের কঠোর শাস্তি-সহ মৃতের পরিবারগুলিকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছি ৷ এছাড়া যারা নিখোঁজ রয়েছেন তাদের উদ্ধারের দাবিতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সংগঠিত করা জরুরি ।"