পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

কোরোনা মোকাবিলায় প্রতি বোরোতে ম্যানেজার নিয়োগের সিদ্ধান্ত মেয়রের - কোরোনা সংক্রমণ

ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কোরোনার সংক্রমণ হলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে ৷ এই আশঙ্কাতেই 16টি বোরোতে একজন করে ম্যানেজার নিয়োগ করা হবে বলে জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম । এছাড়া আরও কয়েকটি পরিকল্পনার কথা আজ জানালেন তিনি ৷

ফিরহাদ হাকিম
ফিরহাদ হাকিম

By

Published : Apr 15, 2020, 10:51 PM IST

কলকাতা, 15 এপ্রিল : কলকাতার বস্তি এলাকা ও ঘনবসতি এলাকাগুলিতে কোরোনা সংক্রমণের আশঙ্কা প্রবল ৷ তাই এই সংক্রমণ রুখতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছেন কলকাতা পৌরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম ।

ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কোরোনার সংক্রমণ হলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে ৷ এই আশঙ্কাতেই 16টি বোরোতে একজন করে ম্যানেজার নিয়োগ করা হবে বলে জানান মেয়র । সেই ম্যানেজারের অধীনে থাকবেন একজন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার । বস্তি এলাকায় যেসব কর্মীরা নিয়মিত যাতায়াত করেন, ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার তথ্য সংগ্রহ করতে তাঁরাই এবার এলাকায় কত বয়স্ক মানুষ রয়েছেন সেই সব তথ্য সংগ্রহ করবেন । এলাকায় যদি কোনও সুস্থ মানুষ থাকে, স্বাস্থ্যের কী অবস্থা সেই খোঁজ খবর রাখবেন । সেইসঙ্গে কেউ অসুস্থ থাকলে তাঁদের কে কী ধরনের অসুখে ভুগছেন সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে বোরো অফিসে যাবেন ।

ফিরহাদ হাকিম জানান, প্রয়োজন হলে পৌর চিকিৎসকরা অসুস্থ ব্যক্তির চিকিৎসা করবেন । পৌরনিগমের বোরো অফিস থেকে ওষুধ সরবরাহ করা হবে । যদি কোনও ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় তাহলে কলকাতা পৌরনিগমের অ্যাম্বুলেন্স আছে । কোরোনা সংক্রমণ হোক বা অন্য কোনও অসুখ, পৌরনিগমের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ।

আজই জানা যায়, বেলগাছিয়া বস্তিতে গত তিনদিনে সাতজন কোরোনা আক্রান্ত হয়েছে ৷ তাই আজ থেকে বস্তি সিল করে দেওয়া হয় ৷ কিন্তু, মেয়র দাবি করে বলেন, "এখনও পর্যন্ত কলকাতার কোনও বস্তিতে কোরোনা সংক্রমণের রিপোর্ট আসেনি । কলকাতার কয়েকটি আবাসনে কোরোনা সংক্রমণের ঘটনা নজরে এসেছে । কিন্তু আগে থেকে কলকাতার বস্তি অঞ্চলগুলোকে বা ঘনবসতি এলাকাগুলোকে সুরক্ষিত করতে হবে । যদি আগে থেকে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে কোরোনা দ্রুত সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে । বহু মানুষের জীবন বিপন্ন হতে পারে তাই বস্তিগুলিতে আগে থেকেই বিশেষ নজরদারি চালাতে হবে ।" তাই আগাম পদক্ষেপ করার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান তিনি ।

আগামীকালই 144টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন মেয়র । তিনি বলেন, যদি কাউন্সিলর ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সাহায্য করতে এগিয়ে আসে তাহলে একটা সিস্টেম তৈরি করা যাবে । এবং তা দ্রুত কার্যকর করা সম্ভব হবে । এই পরিকাঠামো চালু করতে পারলে বস্তি ও ঘনবসতি এলাকাগুলোতে অন্যান্য সংক্রমণের সম্ভাবনা কম থাকবে । যেহেতু সরকারি হাসপাতালগুলো বন্ধ রয়েছে তাই অনেক দরিদ্র, দুস্থ মানুষ সরকারি হাসপাতালে যেতে পারছে না ৷ ঠিকমতো ওষুধ সংগ্রহ করতে পারছেন না । তাই ওই এলাকার যাবতীয় তথ্য পৌরনিগমের হাতে থাকলে পৌর চিকিৎসকরাই যেমন তাদের চিকিৎসা করবেন তেমন প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া সম্ভব হবে ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details