কলকাতা, 26 নভেম্বর: সমস্ত জিনিস ও পরিষেবার উপর জিএসটি আমাদের দিয়ে থাকতে হয়। জীবন বিমার কিস্তি হোক বা হোটেলে থাকা, খাওয়ার জন্য যে খরচ সবটাই অতিরিক্ত জিএসটি টাকা গুনতে হয়। এবার সেই জিএসটি'র টাকা গুনতে গিয়ে কাউন্সিলর তহবিলে টান পড়ার অভিযোগে সরব হলেন বউবাজার এলাকার কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। তবে মানুষের স্বার্থে উন্নয়নের কাজে জিএসটি বাধা হবে না, প্রয়োজনে অতিরিক্ত অর্থ দেওয়ার আশ্বাস দিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
কলকাতা কর্পোরেশনের বউবাজার এলাকার 48 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে'র অভিযোগ, কলকাতা কর্পোরেশন প্রতি ওয়ার্ড পিছু উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য 400 কোড ও 800 কোড বাবদ প্রতি অর্থবর্ষে 40 লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে থাকে। প্রথমে ওই বরাদ্দ অংকের উপর ভ্যাট বাবদ 7 শতাংশ কর ধার্য করা হয়। পরে জিএসটি বাবদ বসে 12 শতাংশ হারে। বর্তমানে 18 শতাংশ হারে জিএসটি এবং 1 শতাংশ সেস। ফলে তিনি হিসেব দিয়ে দেখান যে 1 লাখ টাকা কোনও কাজ করতে হলে সব কেটে প্রকৃত অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় 80 হাজার টাকার কাছাকাছি।
কমবেশি 20 হাজার টাকা চলে যায় জিএসটি ও সেস দিতে। পাশাপশি তিনি দাবি করেন এই সমস্ত খরচের কারণে আগামী অর্থবর্ষ থেকে এই 400 কোড ও 800 কোড টাকা বাড়িয়ে 50 লাখ টাকা করা হোক। এই দাবিকে শাসকদলের একাধিক কাউন্সিলর থেকে বিরোধী অনেকেই সমর্থন করেন। তাঁদের মতে, এই সমস্যার প্রভাব পড়ে উন্নয়ন বা রক্ষণাবেক্ষণের কাজে। বড় অঙ্কের টাকা কমে যায়। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত।
তবে এই বিষয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "কোষাগারের অবস্থা অনুসারে এই মুহূর্তে তহবিলের নির্ধারিত টাকা বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। তবে যে টাকা কেটে নেওয়া হয় সেই টাকা কিছু করা যায় কি না, ভাবা হবে।" পাশাপশি তিনি আশ্বাস দেন, মানুষের উন্নয়নের কাজ করতে কাউন্সিলরদের কোনও অসুবিধা হবে না। সেই কাজ করতে মানুষকে পরিষেবা দিতে আর্থিক বাধা হবে না।
আরও পড়ুন:
- 'তুমি বেনারসে করলে কর্তব্য আর আমি কলকাতায় করলে ঢং!' দেব দীপাবলি নিয়ে বিজেপিকে পালটা ফিরহাদের
- মিলল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমতি, রাজ্যপাল পদে বর্ষপূর্তির পর ফের কেরল যাচ্ছেন বোস
- প্রোমোটার পুরীতে, বেআইনি বাড়ি ভাঙতে গেলে পৌরকর্মীদের বাধা স্বয়ং কাউন্সিলরের