কলকাতা, 6 সেপ্টেম্বর : খুলে গেল গালিফ স্ট্রিটের হাট । সকাল থেকেই গমগম করেছে ওই চত্বর । পশু-পাখি-মাছ-গাছের পসরা সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা । ব্যবসায়ীদের আয়ের বিষয়টি মাথায় রেখে এই হাট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন । কিন্তু এতে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা । যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সক্রিয়তা ছিল । সঙ্গে ছিলেন স্বেচ্ছাসেবকরা ।
বহু যুগ ধরেই গালিফ স্ট্রিটে সাপ্তাহিক হাট বসে । ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত নানা প্রজাতির পাখি, খরগোশ, গিনিপিগ, কুকুর সহ বিভিন্ন পশু, রঙিন মাছ এবং নানা প্রজাতির গাছের হাট চলে । প্রচুর জনসমাগম হয় প্রতি রবিবার । পশুপ্রেমীরা এখান থেকেই সংগ্রহ করে পোষ্য । পাখিপ্রেমীরা পাখি । আবার যাদের ড্রইং রুমে অ্যাকোয়ারিয়াম রাখার শৌখিনতা আছে তারা এখান থেকে সংগ্রহ করেন হরেক প্রজাতির রঙিন মাছ । ভিড় থাকে বাগান প্রেমীদের । লকডাউন থেকে এই হাট বন্ধ ছিল । শহরবাসীর একটা অংশ চাইছিলেন, খুলে দেওয়া হোক এই হাট । পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ এগজোটিক' বার্ড লাভার অর্গানিজ়েশনের পক্ষ থেকেও রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানানো হয় । অনুরোধ জানান এখানকার ব্যবসায়ীরা ।
খুলল গালিফ স্ট্রিটের হাট, সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা স্থানীয়দের
মার্চ মাস থেকেই হার্ট বন্ধ থাকায় তাদের রুজিতে টান পড়েছে । তার উপর যারা পশু কিংবা পাখি বিক্রি করেন, তাদের জোগাতে হচ্ছে পশুখাদ্য । সবমিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল । সবদিক বিবেচনা করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাট খুলে দেওয়ার বিষয়ে সবুজ সংকেত দেওয়া হয় । সেইমতো আজ হাট খুলেও যায় ।
মার্চ মাস থেকেই হাট বন্ধ থাকায় তাদের রুজিতে টান পড়েছে । তার উপর যারা পশু কিংবা পাখি বিক্রি করেন, তাদের দিতে হচ্ছে পশুখাদ্য । সবমিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল । সবদিক বিবেচনা করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাট খুলে দেওয়ার বিষয়ে সবুজ সংকেত দেওয়া হয় । সেইমতো আজ হাট খুলে যায় । যদিও দূর-দূরান্ত থেকে যে ব্যবসায়ীরা আসেন তাঁরা আজকের হাটে আসতে পারেননি । ফলে সাধারণ সময়ের থেকে ব্যবসায়ীরা কম এসেছিলেন । আবার “হবি" প্রেমীদের বড় অংশ খবর পাননি হাট খুলে যাওয়ার বিষয়ে । ফলে আজকের হাটে মোটের উপর ভিড় কম ছিল । আজ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু । তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, পৌরপিতা বাপি ঘোষ ।
এই হাট খুলে যাওয়ায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা । শহর এবং শহরতলীর বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষজন এসে কেনা-বেচা করলে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা । যদিও পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে , সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আগামী দিনেও চালানো হবে কড়া নজরদারি । মোতায়েন থাকবে পুলিশ ।
কুণাল ঘোষ বলেন, “পোষ্য জীবনের অঙ্গ । হাট চালু হওয়া দরকার ছিল । এর সঙ্গে বিপুল কর্মসংস্থান জড়িত । ফলে ধাপে ধাপে স্বাভাবিক হওয়া জরুরি । অন্য হাট বাজার খোলা হলে এটি বন্ধ থাকবে কেন ? আশা করছি বিধি মেনে পোষ্যের হাট প্রতি রবিবার চলতে থাকবে ।"