কলকাতা, 4 জুন: ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর কেটে গিয়েছে 2 দিন ৷ এখন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলছে উদ্ধার কাজ ৷ চলছে ট্রেল চলাচল স্বাভাবিক করার কাজ ৷ এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বাতিল হয়েছে একাধিক ট্রেন ৷ ফলে এখনও ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে বাইরে থাকা পর্যটকদের ৷ ট্রেন বাতিল হওয়ায় ঘুর পথে ঘরে ফিরতে বাধ্য হয়ে কাটতে হচ্ছে বাস বা ফ্লাইটের টিকিট ৷ বাড়ি ফেরার তাগিদে টিকিটের অতিরিক্ত মূল্য দিতে গিয়ে টান পড়েছে পকেটেও ৷
বেলুড় থেকে পরিবারের সঙ্গে পুরীতে বেড়াতে গিয়েছিলেন সুস্মিতা রায় নিয়োগী। কিন্তু আচমকাই সেখানে তাঁর তিন বছরের মেয় অসুস্থ হয়ে পড়ে ৷ ফলে বাড়ি ফেরার তাগিদ একটু বেশিই ৷ সেই মুহূর্তেই একের পর এক ট্রেন বাতিল হওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল তাঁদেরও ৷ কীভাবে ফিরবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা ৷ অন্যদিকে বাস-ফ্লাইটে টিকিটের চড়া দামও চিন্তার একটা বড় কারণ ছিল ৷ তিনি জানান, "বিগত তিনদিন আমরা পুরীতে আছি। আমার ছোটো মেয়ে সঙ্গে আছে। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ফেরার কথা থাকলেও বুঝতে পারছি না কী করব, যেভাবে একের পর এক ট্রেন বাতিল হচ্ছে ! অন্যদিকে বাস ও বিমানের ভাড়াও অত্যাধিক। তবে শেষ মুহূর্তে মেয়ের শরীরের কথা ভেবেই অতিরিক্ত দাম দিয়েই কাটতে হয়েছে পুরী থেকে কলকাতার বিমানের টিকিট ৷"
স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে চিন্তায় স্বামী সমোজিৎ নিয়োগীও। তিনি জানান," ট্রেন বাতিল হয়ে গিয়েছে। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কাছে এত ভাড়া দিয়ে বাসে-বিমানে ফেরা সত্যি খুব চাপের।"