কলকাতা, 8 অগাস্ট : দুটো পয়সা বেশি রোজগারের আশায় গ্রাম-গঞ্জ শহরতলি থেকে বহু মানুষ ভিড় করে কলকাতায় ৷ সেই আশাই দেখেছিলেন সুজিত সুচৌরি ৷ দার্জিলিঙের মিরিকের কাছে পোখরেবুং নামে একটি ছোটো গ্রামের বাসিন্দা ৷ বাব মারা গিয়েছেন অনেক দিন আগেই ৷ সংসার বলতে বাড়িতে ছোটো একটি বোন ও বিধবা মা ৷ বোন পাহাড়ের একটি স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী৷ এই পরিস্থিতিতে সংসারের হাল ফেরাতে, দুটো বেশি রোজগারের আশায় কয়েকমাস আগেই কলকাতায় আসেন সুজিত ৷ একটি ছোটোখাটো কাজও করছিলেন ৷ ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ আর লকডাউন কেরে নিয়েছে সেই কাজও ৷ এভাবেই কর্মহীন প্রায় দেড়মাস ৷ কাজের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়েছে মাথা গোজার জায়গা ৷ এখন ঠিকানা সূর্য সেন স্ট্রিটের ফুটপাত ৷ পরনে কালো রঙের গেঞ্জি ও প্যান্ট ৷ পিঠে ব্যাগ ৷ সঙ্গে জলের বোতল ৷ সম্বল বলতে এটুকুই ৷
সূর্যসেন স্ট্রিটের ফুটপাতই এখন সুজিতের একমাত্র আস্তানা
লকডাউনের জেরে কাজ হারিয়েছেন প্রায় দেড় মাস ৷ দার্জিলিঙের বাসিন্দার বর্তমান ঠিকানা সূর্য সেন স্ট্রিটের ফুটপাত ৷
গত দেড় মাস ধরে ফুটপাতেই দিন কাটছে প্রায় বছর 40-এর সুজিত সুচৌরির ৷ দুই এক দিন রাতে পিঠে পড়ে পড়েছে পুলিশের লাঠিও ৷ সুজিতের অভিযোগ, পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়েও কোনও সুরাহা হয়নি ৷ জুটেছে হুমকি ৷ কোনও কথাই শুনতে রাজি হয়নি পুলিশ ৷ পাশে দাঁড়িয়েছেন এলাকার কয়েকজন ৷ কেউ দিচ্ছেন সকালের খাবার ৷ কেউ জোগাড় করছেন রাতেরটা ৷
মাথা গোজার জায়গা করে দিয়েছেন স্থানীয় এক খবরের কাগজ বিক্রেতা ৷ তার সৌজন্যে সল্টলেকের একটি হোটেলে রান্নার কাজ পেয়েছে সুজিত । সব ঠিক থাকলে ফের ঘুরে দাঁড়াবে সুজিতের ভাগ্য ৷