কলকাতা, 29 মে : নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না তিনি । কারণ, রাজ্যে 54 জনের মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে BJP । আজ টুইট করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
আগামীকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মোদি । এরাজ্যের মৃত 54 জনের পরিবার উপস্থিত থাকবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে । BJP-র বক্তব্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে ওই 54 জনকে খুন করা হয়েছে । বিষয়টি সামনে আসার পর প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে না যাওয়ার কথা জানিয়ে টুইট করেন মমতা ।
গতকাল মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সাংবিধানিক রীতি মেনে প্রধানমন্ত্রীর শপথে উপস্থিত থাকতে পারেন । কিন্তু, একদিন পরই টুইট করে তিনি বলেন, বিভিন্ন মিডিয়ায় দেখলাম রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসায় 54 জন খুন হয়েছেন বলে BJP দাবি করছে । এটা একেবারে অসত্য । রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসায় কেউ খুন হননি । ব্যক্তিগত শত্রুতা, পারিবারিক বিবাদ এবং অন্য কারণে ওই 54 জনের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে । কিন্তু, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই । এরকম কোনও তথ্য নেই ।
এরপর মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি লেখেন, "আমি দুঃখিত নরেন্দ্র মোদিজি । এই বিষয়টির জন্য আমি শপথে যেতে পারছি না । গণতন্ত্রের উদযাপন করার জন্য এই অনুষ্ঠান । কোনও দলের রাজনৈতিক লাভের জন্য নয় । আমায় মাপ করবেন । "
মমতার এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে বড় রাজনৈতিক ঝড় তুলতে চলেছে । দুটি দিক থেকে শপথ অনুষ্ঠান হতে চলেছিল তাৎপর্যপূর্ণ । প্রথমত, যদি মমতা শপথে যেতেন, আর ওই পরিবারগুলি উপস্থিত থাকত তাহলে রাজনৈতিকভাবে অনেকটাই চাপের মধ্যে পড়তেন তিনি । যেটা চেয়েছিল BJP । তিনি না গিয়ে হয়ত কিছুটা নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেন । দ্বিতীয়ত, মমতা প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন BJP বাংলায় যে রাজনৈতিক হত্যার অভিযোগ তুলছে তা পুরোপুরি মিথ্যা । রাজনৈতিক ফয়দা তুলতেই এই কথা রটাচ্ছে BJP । এই কথা তিনি মানেন না ।
অর্থাৎ ভোট পরবর্তী মোদি-মমতা দ্বন্দ্ব সপ্তম সুরেই থেকে গেল । রাজনৈতিকভাবে মোদি-মমতা দ্বন্দ্ব আরও চরম আকার নিতে শুরু করল । দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর প্রথম দিন থেকেই কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের দ্বন্দ্ব চূড়ান্ত আকার নেওয়ার আভাস দিতে শুরু করল । আগামী দিনে এই সম্পর্ক কোন পথে যাবে সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন ।