কলকাতা, 26 অক্টোবর: শান্তিনিকেতন ইউনেসকোর স্বীকৃতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্য। ফলকে তাঁরই জায়গা হচ্ছে না ! বৃহস্পতিবার কার্যত এই ভাষাতেই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ এদিন দুপুরে বাড়িতেই সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ কার্যত উষ্মা প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "উৎসব চলছিল তাই চুপ ছিলাম। আগামিকালের মধ্যে ফলকে রবীন্দ্রনাথের নাম না-ফেরানো হলে আমাদের ছেলেরা আন্দোলনে বসবে । শান্তিনিকেতন ইউনেসকোর স্বীকৃতি রবীন্দ্রনাথের জন্য। ফলকে তাঁরই জায়গা হচ্ছে না !"
বিশ্ব ঐতিহ্যের ফলকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম না থাকলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বুকে রবীন্দ্রনাথের ছবি নিয়ে আন্দোলনে নামবেন তৃণমূলের লোকজন, কালীঘাটে সাংবাদিক বৈঠক থেকে এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ প্রসঙ্গত, ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমার পর একটি ফলক বসিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তাতে আচার্য হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উপাচার্যের নাম রয়েছে, ব্রাত্য স্বয়ং গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ। যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে ৷
27 সেপ্টেম্বর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনকে 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ' বা 'বিশ্ব ঐতিহ্যের' তকমা দিয়েছে ইউনেসকো। যা নিয়ে গর্বিত সকলেই ৷ এরই মাঝে দেখা গেল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহ, রবীন্দ্রভবন ও গৌরপ্রাঙ্গণে তিনটি শ্বেত পাথরের ফলক বসানো হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, "ইউনেসকো স্বীকৃত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট"। এর নীচে দুটি নাম দেওয়া হয়েছে ৷ একটি বিশ্বভারতীর আচার্য হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং দ্বিতীয়টি উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। স্বয়ং গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই ব্রাত্য বিশ্ব ঐতিহ্যের ফলক থেকে।