কলকাতা, 14 এপ্রিল:জমি আন্দোলন তাঁকে বিরোধী নেত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসিয়েছে । তাই সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামের ইতিহাসকে ভোলেননি তিনি । বরং তাঁর সরকারের ঘোষিত নীতি, জোর করে অনিচ্ছুকদের জমি নেওয়া হবে না । কিন্তু দুর্ভাগ্যের হলেও সত্যি, বীরভূমের হরিণ সিংহা কোল বেল্টে থাকা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা খনির কাজ এতদিন বাধা পাচ্ছিল জমি আন্দোলনের জন্যই । এই প্রকল্প থেকে রাজ্যের বিপুল লাভের সম্ভাবনা থাকলেও বীরভূম জমি জীবন জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভার আন্দোলন এই প্রকল্পের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ।
মূলত বিরোধী দলের প্রশ্রয়ে যখন এই আন্দোলন সরকারের মাথাব্যথার কারণ হচ্ছিল, ঠিক তখন মমতার চালে বেকায়দায় বিরোধীরা । বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata meets Deucha Pachami protesters) আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে সরাসরি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলেন । আর এই আলোচনার পরই প্রকল্প নিয়ে সুর নরম আন্দোলনকারীদের ।
প্রসঙ্গত, দেউচা পাচামিতে (Deucha Pachami project) যেখানে কয়লা খনি প্রকল্প গড়ে উঠছে সেখানকার 36টি গ্রামের প্রতিনিধিদের নিয়ে তৈরি হয়েছে বীরভূম জমি জীবন জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভা । মূলত ওই মহাসভার নেতৃত্বেই গত কয়েক মাস ধরে প্রস্তাবিত কয়লাখনি প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে । এদিন এই বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য উপস্থিত ছিল 9 জনের প্রতিনিধি দল । নেতৃত্বে ছিলেন সাদী হাঁসদা । প্রায় আধঘণ্টা কথা হয় দু'পক্ষের । এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী । দেউচা পাচামি প্রকল্প গড়তে গিয়ে কেউ বঞ্চিত হবেন না, তা স্পষ্ট করে আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বৈঠকে মূলত চার দফা দাবির কথা তারা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন ।
আরও পড়ুন:Meeting on Deocha Pachami : দেউচা পাচামি নিয়ে বৈঠকে প্রশাসন, জমিজটের অভিযোগ অস্বীকার