কলকাতা, 4 অগস্ট:বেহালার চৌরাস্তায় লরির ধাক্কায় স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বিষয়টির খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছেন তিনি ৷ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের প্রেক্ষিতে কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে মুখ্যসচিব কথা বলেছেন বলে জানা গিয়েছে ৷
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকাল সাড়ে ছ'টা নাগাদ বড়িশা হাইস্কুলের প্রাথমিক বিভাগের এক পড়ুয়া তার বাবার সঙ্গে যখন স্কুলে যাচ্ছিল তখন দুর্ঘটনাটি ঘটে ৷ অভিযোগ, বেহালা চৌরাস্তার মোড়ে একটি মাটি বোঝাই লরি চাপা দেয় ওই বাচ্চাটিকে ৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই পড়ুয়ার ৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই পড়ুয়ার বাবা ৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এদিন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় ওই এলাকায় ৷
আরও পড়ুন: সাঁতরাগাছিতে আটক বেহালার ঘাতক লরি, প্রশ্ন কর্তব্যরত পুলিশের ভূমিকায়
ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকাবাসী ও স্কুল পড়ুয়াদের অভিভাবকরা ৷ ক্রমে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে, পুলিশের গাড়িতে আগুল লাগানো হয়, ভাঙচুর করা হয় বেসকিছু বাসেও ৷ এলাকায় যাওয়া পুলিশের সঙ্গেও বিক্ষোভকারীদের কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাতে হয় পুলিশকে, লাঠিচার্জও করা হয় ৷
আরও পড়ুন:বেহালার ঘটনায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিবের থেকে নিলেন খোঁজ
এই ঘটনার জেরে প্রায় 2 ঘণ্টার জন্য অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ডায়মন্ড হারবার রোড ৷ পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে আহত হন দু'পক্ষেরই কয়েকজন ৷ দীর্ঘক্ষণের জন্য স্কুলের ভিতরেই আটকে পড়ে পড়ুয়ারা ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় ব়্যাফও নামায় কলকাতা পুলিশ ৷ এই ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকার উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন এলাকাবাসী ৷ অভিযোগ, চৌরাস্তার মতো এলাকা যেখানে চারদিক দিয়ে যানবাহন চলাচল করে, এলাকায় একাধিক স্কুল, বাজার, ব্যাংক, অফিস রয়েছে সেখানে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয় ৷ অনেক সময় পর্যাপ্ত ট্রাফিক সার্জেন্টের দেখা মেলা না ৷ অথচ ঘটনাস্থলের পাশেই রয়েছে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক গার্ড ৷ লরি, ট্রাক চালকদের থেকে ঘুস নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে ৷ এবার এই ঘটনা নিয়ে খোঁজ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৷