কলকাতা, 29 অগস্ট : একুশের জয়লাভের পর এ রাজ্যের শাসকদলের নজরে দিল্লির মসনদ । তাই বহুদিন আগে থেকেই অ-বিজেপি দলগুলিকে নিয়ে সলতে পাকানো শুরু করে দিয়েছেন । 21 জুলাই (21st July) শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকেও বারবার বিরোধীদের একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । তৃণমূল ছাত্র পরিষদ প্রতিষ্ঠা দিবসের (TMCP) ভার্চুয়াল ভাষণেও তার অন্যথা হল না । বরং আট দশকের ইতিহাস ফুটে উঠল তৃণমূল সুপ্রিমোর বক্তৃতায় । জ্যোতি বসুর (Jyoti Basu) দেখানো পথে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো রক্ষা করতে বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকের ডাক দিলেন মমতা ।
শনিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ প্রতিষ্ঠা দিবসের ভাষণে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরও একবার বিরোধী জোটের কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ধ্বংস করছে । একে রক্ষা করতে হবে । ফেডারেল স্ট্রাকচার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক ডাকতে চাই । সব কিছু রাজ্য সরকারের থেকে নিচ্ছে । উদ্ধব লড়ছে । প্রতিদিন ওঁর আর অরবিন্দের উপরে জুলুম হচ্ছে । সবার সঙ্গে হচ্ছে । সব মুখ্যমন্ত্রীদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে । কেন্দ্র জিএসটির টাকা দেয় না ৷ বিপর্যয়ের টাকা দেয় না ৷" এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, মমতা কি আটের দশকের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর মতো জাতীয় স্তরের নেত্রী হয়ে উঠতে চাইছেন?
আরও পড়ুন:Shikha Mitra : 6 বছর পর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন সোমেন-জায়া শিখার
আটের দশকে প্রথম কংগ্রেস বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের এক মঞ্চে আনেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু । তাঁর নেতৃত্বেই ভারতে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার দাবি ওঠে । তাঁর ডাকে বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীরা বৈঠকে বসেন । কলকাতা ও শ্রীনগরে বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক হয় । সংবিধানের যুক্তরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা মেনে রাজ্যের হাতে আরও বেশি ক্ষমতার দাবি ওঠে, তৈরি হয় সরকারিয়া কমিশন । বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের তৈরি ওই কমিশনের দাবিও মেনে নেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি । জ্যোতি বসুর জনপ্রিয়তা এতই বাড়ে যে তাঁকে জাতীয় স্তরে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী করার দাবি ওঠে ।