কলকাতা, 17 জানুয়ারি: শহিদ মিনারে গুরু গোবিন্দ সিংকে শ্রদ্ধা জানাতে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সাধারণের মতোই প্রসাদ গ্রহণ করলেন ৷ শিখ ধর্মের দশম গুরু ছিলেন গোবিন্দ সিং। আজ বুধবার তাঁর জন্মবার্ষিকীতে শিখ ধর্মগুরুকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ধর্মতলায় এসে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শিখ ধর্মগুরুকে শ্রদ্ধা জানালেন। সেখানেই তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে বাংলা ও পঞ্জাবের আত্মিক যোগাযোগের কথা।
এদিন শহিদ মিনারের পাদদেশে গুরু গোবিন্দ সিংয়ের জন্মদিন উপলক্ষে থেকে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল সেখানেই বিকেল পাঁচটা নাগাদ আসেন মুখ্যমন্ত্রী । সেখানে তিনি বলেন, "এখন আপনাদের সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক হয়ে গিয়েছে । কোমরে ব্যথা রয়েছে তাই এই মুহূর্তে বসে সেবা দান করতে পারব না । তবে আমার ইচ্ছা আছে আপনাদের এখানে লঙ্গরে সেবা দান করার ।"
শিখ ধর্মগুরুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে একটি শিশুকে খাইয়ে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি এদিন বলতে গিয়ে অভিষেকের স্ত্রী রুজিরার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, "রুজিরা এখানে প্রত্যেক বার আসে । ওর জন্ম পাঞ্জাবি পরিবারে। এবারও এসেছিল । আমি প্রত্যেকবারই আপনাদের অনুষ্ঠানে থাকি । আপনাদের সঙ্গে থাকি । আমি সমস্ত ধর্ম সমস্ত পরম্পরাকে শ্রদ্ধা করি । আনন্দপুর শাহিবের 300 বছর পূর্তিতে আমি সেখানে গিয়েছিলাম । একবার স্বর্ণমন্দিরে যেতে চাই । এটা দীর্ঘদিনের ইচ্ছা। গুরু গোবিন্দ সিংয়ের প্রত্যেকটি বক্তব্য আমাদের মেনে চলা উচিত বলে মনে করি আমি ।"
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "স্বাধীনতা আন্দোলনে সবথেকে বেশি শহিদ হয়েছিলেন পাঞ্জাবি এবং বাঙালিরা। আমি আন্দামানে সেলুলার জেলে গিয়ে দেখেছি, সেখানে যে সকল শহিদদের নাম লেখা আছে তাঁর মধ্যে বেশিরভাগই পাঞ্জাবি এবং বাঙালি । রবীন্দ্রনাথ এটা বুঝেছিলেন । তাই জনগণমন-র শুরুতে পঞ্জাবকে রেখেছিলেন। আর শেষে রেখেছিলেন বাংলাকে । গোটা দেশের সংযোগ স্থাপনের কাজ করে পঞ্জাব এবং বাংলা ।"
আরও পড়ুন :
- রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন রাজ্যজুড়ে সম্প্রীতি মিছিলের ডাক মমতার
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে গেরুয়া রং করার কেন্দ্রীয় নির্দেশ মানবে না রাজ্য, মোদিকে জানালেন মমতা
- গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলার স্বীকৃতির দাবিতে মোদিকে চিঠি মমতার