কলকাতা, 4 মে : কোরোনা ভাইরাস নিয়ে চলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (MAKAUT) তথা রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় । এবার চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । গ্রেডেড মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চেন ফরম্যাটে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে । সেই লক্ষ্যেই বর্তমানে পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় ।
কোরোনা ভাইরাসের কারণে গোটা দেশে চলছে লকডাউন । বন্ধ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । রাজ্যের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান 10 জুন পর্যন্ত বন্ধ । এই পরিস্থিতিতে কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে ৷ অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার কী হবে সেই সংক্রান্ত পরামর্শমূলক গাইডলাইন প্রকাশ করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন । তার আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষা হবে । বাকি সিমেস্টারগুলি একটি করে এগিয়ে যাবে । সেই ঘোষণা অনুযায়ী MAKAUT আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষা নিয়ে নেওয়া হবে । তারপর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের দেওয়া গাইডলাইনেও একই ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয় । গাইডলাইনে আরও বলা হয়েছে, পরিকাঠামো অনুযায়ী অনলাইন ও অফলাইন দুই মোডেই পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে । সেই পরামর্শ মেনে চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ।
এবিষয়ে রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈকত মৈত্র বলেন, " আমরা চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষাটা করব । অনলাইনেই চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভেবেছি । এখন সেজন্য পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে । প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার কাজ চলছে । তৈরি হয়ে গেলে টেস্টিং করে দেখা হবে । " মোবাইলের মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া যায় কি না, কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করা হবে ৷ বাড়িতে বসে পরীক্ষা দেওয়া যাবে কি না , কবে করা হবে সব কাজ , ধাপে ধাপে করা হবে কি না , এই ধরনের বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে । যাতে এই পদ্ধতি সবার জন্য গ্রহণযোগ্য করে তোলা যায় সেই লক্ষ্যেই পরিকাঠামো তৈরি করছে বিশ্ববিদ্যালয় । অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, " অনলাইন ছাড়া তো এখন উপায় নেই । লকডাউন চলুক বা না চলুক ৷ সব জায়গা তো সুরক্ষিত বলে ঘোষণা করা হয়নি । পরীক্ষা দিতে এসে ছেলে-মেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়লে তো তার দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরই বর্তাবে । এভাবে তাদের আমরা বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারি না । "