কলকাতা, 5 জুলাই : নতুন প্যার্টানে চুরি ! সিগনালে কিংবা দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির জানালার কাছে “ ঠকঠক"। বলা হয়, গাড়ি থেকে মোবিল পড়ছে । কখনও আবার বলা হয় গাড়ির এয়ার কন্ডিশনের "কুলিং ওয়েল" রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছে । কখন দরজা খুলে গাড়িতে বসা লোকটি তা পরীক্ষা করবে, সেই অপেক্ষায় থাকত তারা । শিকার গাড়ি থেকে নামলেই চূড়ান্ত দক্ষতায় মোবাইল ফোন, পার্স কিংবা ব্যাক নিয়ে চম্পট দিত । কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন শহরে এই কায়দাতে চুরির ঘটনা ঘটেছে বহু । কলকাতা পুলিশ এই চক্রের নাম দিয়েছে "ঠকঠক গ্যাং" । কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ওয়াচ সেকশনের তৎপরতায় শেষমেশ দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই গ্যাংয়ের পান্ডাকে । তাকে কলকাতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে ।
দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার কলকাতায় গাড়িতে চুরির "ঠকঠক” গ্যাংয়ের পান্ডা
দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করা হল কলকাতায় গাড়িতে চুরির "ঠকঠক” গ্যাংয়ের পান্ডাকে । নাম ভোলা দাস । সে দিল্লির ইন্দ্রপুরী এলাকার বাসিন্দা। জুন মাসে কলকাতার নামী স্বর্ণ ব্যবসায়ী শান্তনু চন্দ্রর গাড়িতে চুরির ঘটনায় যুক্ত ছিল ভোলা ।
ঘটনাটি জুন মাসের শুরুর দিকের । কলকাতা পুলিশের কাছে খবর আসে, এ জে সি বোস রোড এবং শরৎ বোস রোডের সংযোগস্থানে একটি নামী গয়না প্রস্তুতকারী সংস্থার কর্ণধার শান্তনু চন্দ্রর গাড়িতে চুরি হয় । নামী স্বর্ণ ব্যবসায়ী শান্তনু গাড়ি রেখে ছোট একটি কাজ সারতে গেছিলেন । ফিরে দেখেন খোয়া গেছে ব্যাগ । ব্যাগের মধ্যে 500 গ্রাম সোনা রাখা ছিল । যার বাজারমূল্য প্রায় 17 লাখ টাকা ছিল । তার গাড়িতে অবশ্য ঠকঠক করেনি কেউ । তড়িঘড়ি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যবসায়ী । CCTV ফুটেজ় খতিয়ে দেখে চোরের সন্ধান পায় তদন্তকারী লালবাজারের ওয়াচ সেকশন । কিন্তু চোর যে এই শহরের নয় তা প্রথমটায় বোঝা যায়নি ।
পরে পুলিশ জানতে পারে, ওই চোরের নাম ভোলা দাস । সে দিল্লির ইন্দ্রপুরী এলাকার বাসিন্দা । দিল্লিতেই মদনগিড় এলাকা থেকে তাকে অবশেষে পাকড়াও করেছে কলকাতা পুলিশ । জেরায় জানা গেছে, ভোলা ঠকঠক গ্যাংয়ের মাথা । সে এর আগে রবীন্দ্র সরোবরে মর্নিং ওয়াক করতে আসা ব্যক্তিদের থেকে ওই কায়দায় জিনিসপত্র চুরি করেছে । বালিগঞ্জে অতীতে ঘটিয়েছে একই ঘটনা । এই রাজ্য ছাড়াও মহারাষ্ট্র, দিল্লিতেও একই কায়দায় চুরি করেছে সে । ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শান্তনুর 250 গ্রাম সোনার খোঁজ পেয়েছে পুলিশ । বাকি সোনা সে বিক্রি করে দিয়েছিল । তাকে কলকাতা আনার পর আদালতে পেশ করা হবে । পরে নিজেদের হেপাজতে নিয়ে চক্রের অন্যদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেবে তদন্তকারীরা ।