কলকাতা, 2 নভেম্বর : ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে কাকুলিয়া জোড়া খুন কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত ভিকি হালদার এবং তার সাগরেদ শুভঙ্কর মণ্ডলকে। মুম্বইয়ের কালা চৌকি থেকে সোমবার তাদের নিয়ে আসা হয়। গ্রেফতারির পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় দু'জনকে।
ডায়মন্ড হারবার জেলা থেকে প্রচুর লোক কাজের সূত্রে মুম্বই গিয়ে থাকে। অনেকের মতো সেও গিয়েছিল সেখানে। পুলিশের কাছে এমনই দাবি করেছে ভিকি ৷ লালবাজার সূত্রে খবর, কৃতকর্মের জন্য ভিকির চোখে-মুখে অনুশোচনার লেশমাত্র নেই। সুবীর চাকি ও রবীন মণ্ডল খুনের ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে সে। একাধিকবার তার কাছে খুন সম্পর্কিত তথ্য জানতে চাওয়া হলেও সে চুপ করে থাকে । ঘটনার পর ভিকি কোথায় গিয়েছিল, কার কার সাথে তার দেখা হয়েছিল সবই জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ভিকি ও তার সাগরেদকে আলিপুর পুলিশ আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে চাইবে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। এরপর তাদের ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছে লালবাজার।
উল্লেখ্য, গড়িয়াহাট জোড়া খুনের ঘটনায় কিছুতেই খোঁজ মিলছিল না মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদারের ৷ কোনও সূত্রই কাজে আসছিল না ৷ একাধিক জেলায় চলছিল তল্লাশি । ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই অবশেষে গোয়েন্দাদের হাতে আসে নতুন সূত্র। লালবাজার জানিয়েছে, খুনের ঘটনার পর 18 অক্টোবর ভিকি হালদার ডায়মন্ড হারবার থেকে মুম্বইয়ে উদ্দেশে পাড়ি দেয়। এই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া সঞ্জয় মণ্ডলকে শেষবারের মত ভিকি হালদার বলেছিল "লুকিয়ে থাক। পরে মুম্বইয়ের দিকে ডেকে নেব।"
আরও পড়ুন : ‘মুম্বইয়ের দিকে ডেকে নেব’, সঞ্জয়কে বলা এই কথাই কাল হল ভিকির
কিন্তু সঞ্জয়কেও পরবর্তীতে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জেরা করেই গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন শেষ বারের মতো ভিকি সঞ্জয়কে মুম্বইয়ের কথা বলেছিল। সেইমত মুম্বই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে লালবাজার। এরপর খোঁজ শুরু করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি বিশেষ দল মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের কালাচৌকি থানা এলাকার একটি অভিজাত আবাসনে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ শুরু করে দিয়েছিল ভিকি ও শুভঙ্কর মণ্ডল। সেখান থেকেই তাদের গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। ভিকি ও তার সাগরদকে 3 নভেম্বর পর্যন্ত ট্রানজিট রিমান্ডে পান লালবাজারের গোয়েন্দারা।