কলকাতা, 11 এপ্রিল: মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধি । রাষ্ট্রের পিতা । আমফান ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Amphan news) কেড়ে নিয়েছে তাঁর চশমা । প্রশ্ন, কবে আবার ফিরে পাবেন তিনি সেই চশমা ? চশমাহীন হয়ে জাতির জনক মেয়ো রোডে রয়েছেন 2020 সালের মে মাস থেকে । সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে খুব শিগগিরই তিনি তাঁর ব্রোঞ্জের চশমা আবার ফিরে পেতে চলেছেন (Gandhi statue getting new spectacles)।
মেয়ো রোড ও ডাফরিন রোডের সংযোগস্থলে থাকা গান্ধি মূর্তিটি বছরের পর বছর ধরে অসংখ্য প্রতিবাদের সাক্ষী । বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সরকার ও বিরোধী পক্ষ সকলেই প্রতিবাদের সময় গান্ধিজিকে (new spectacles of Gandhi statue) সাক্ষী রেখে সরব হয় । কিন্তু ইদানিং এই প্রতিবাদস্থলে থাকা গান্ধি মূর্তিটির দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে, কারণ তার বৃত্তাকার চশমটিই আজকাল আর তার সঙ্গে নেই ।
1958 সালে দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরী এই ব্রোঞ্জ মূর্তি তৈরি করেছিলেন । সে সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু কলকাতায় এসে মূর্তিটির উদ্বোধন করেন । তখন থেকেই ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে এই গান্ধি মূর্তি । এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে । কালের নিয়মে একের পর এক সরকার বদল, তার একাধিক কর্মসূচির সাক্ষী থেকেছে এই গান্ধি মূর্তি । তবে 2020 সালের বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আমফান তার চোখের চশমা ভেঙে দিয়ে গিয়েছে । তখন থেকেই চশমাহীন তিনি ।
রাজ্যের পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, এই ঐতিহাসিক গান্ধি মূর্তিটির চশমা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । কালীঘাট পটুয়াপাড়া শিল্পী পিন্টু পালকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । প্রখ্যাত এই শিল্পী দীর্ঘদিন ধরেই এ ধরনের বিভিন্ন কাজ করে আসছেন । শিল্পী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই মূর্তিটির জন্য এক জোড়া ব্রোঞ্জের চশমা তিনি তৈরি করেছেন । এবং তা ইতিমধ্যেই পূর্ত দফতরে জমা করেছেন । এরপর দফতরের চূড়ান্ত অনুমতি পেলে এই চশমা আবার পরিয়ে দেওয়া হবে মহাত্মা গান্ধির চোখে (Gandhi statue in Kolkata getting new spectacles)।