পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

শিকেয় সামাজিক দূরত্বের বিধি, মদের দোকান বাড়াতে পারে আক্রান্তের সংখ্যা - violation of social distancing

কলকাতার মহিম হালদার স্ট্রিটের একটি মদের দোকানের লাইনে আজ লাঠিচার্জ করে পুলিশ । নিউমার্কেট থানা এলাকার মতিলাল শীল স্ট্রিট, SN ব্যানার্জি রোড থেকে রাসবিহারী অ্যাভিনিউ সর্বত্র একই ছবি । কোথাও মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব । চিকিৎসকদের আশঙ্কা এতে বাড়তে পারে সংক্রমণ।

ছবি
ছবি

By

Published : May 4, 2020, 9:59 PM IST

কলকাতা, 4 মে : সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে অনেকটা হলেও কোরোনা সংক্রমণ ঠেকানো যেতে পারে । চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে প্রশাসনের তরফে বারবার বলা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন‍্য। কিন্তু আজ শহর এবং শহরতলির মদের দোকানগুলিতে যে চিত্র দেখা গেছে, তাতে সংক্রমণের আশঙ্কা প্রবল । মদের দোকান খুলে যাওয়ায়, লকডাউনের সমস্ত বিধি শিকেয় তুলে, সামাজিক দূরত্ব ভুলে সামনে লম্বা লাইন দিয়েছেন মানুষজন। বহু জায়গায় ঠেলাঠেলি করে, গা ঘেঁষাঘেঁষি করে লাইনে দাঁড়িয়ে মদ কিনছেন মানুষজন । এর জেরে সংক্রমণ বাড়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে বলে, জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

কলকাতায় আজ দুপুর 12 টা থেকে সন্ধ্যা 6 টা পর্যন্ত মদের দোকান খোলা থাকার কথা বলা হয়েছিল। পরে মৌখিকভাবে রিটেইলারদের জানিয়ে দেওয়া হয় 12 টা নয়, খোলা হবে তিনটে থেকে। এদিকে মদের দোকান খোলা হবে জেনেই সকাল থেকেই সুরা কলকাতা বিভিন্ন মদের দোকানের সামনে ভিড় করতে শুরু করে। পড়ে যায় লম্বা লাইন। শুরু হয় ঠেলাঠেলি। কলকাতার ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজারের কাছে মহিম হালদার স্ট্রিটের একটি মদের দোকানের সামনে ভিড় নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ । একই চিত্র নিউমার্কেট থানা এলাকার মতিলাল শীল স্ট্রিট, SN ব্যানার্জি রোড, মির্জা গলিব স্ট্রিট, গড়িয়াহাট থানা এলাকার হেমন্ত মুখার্জী সরণি থেকে রাসবিহারী অ্যাভিনিউ, শরৎ বোস রোড সর্বত্র । সোদপুর এলাকায় বেশ কিছু মদের দোকান রয়েছে। সেগুলিতেও একই চিত্র। গোলা থানার পুলিশের সামনেই ছ'ফুটের সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন মানুষজন।

সামাজিক দূরত্ব না মেনেই মদের দোকানে লম্বা লাইন

এবিষয়ে চিকিৎসক সজল বিশ্বাস বলেন, "এভাবে এই সময় রাস্তায় বেরিয়ে সামাজিক দূরত্ব না মানলে পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। এই সময় মদের দোকান খোলার অনুমতি না দিলেই পারত সরকার। সাধারণ মানুষের উচিত কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা। নাহলে সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়বে । এতদিনের লকডাউনের সব সুফল শেষ হয়ে যাবে। মনে রাখতে হবে রাজ্যে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details